প্রথম দিনে ব্যাটিং দিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে খেই হারিয়ে ফেলে অতিথিরা। ১২৬ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে প্রথম ইনিংসে তারা তোলে ৩৬৪ রান। জবাবে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসটাও যুতসইভাবে শুরু হয়নি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় অভিজ্ঞ কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম আর ড্যারেল মিচেলের ব্যাটে লড়ছে টম লাথামের দল। দ্বিতীয় দিনশেষে তারা পিছিয়ে আছে ২০৭ রানে।
নতুন বলে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কাগিসো রাবাদার তোপে দিশেহারা দুই কিউই ওপেনার, টম লাথাম(০) এবং উইল ইয়াং(৩)। ডেভন কনওয়ে, হেনরি নিকোলস প্রাথমিক ধাক্কা সামলে এগোতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তাদের পরিশ্রমে জল ঢেলে দেন মার্কো জেনসন। ১৬ রানে কনওয়ে আর ৩৯ রানে নিকোলসকে থামান এই অখ্যাত জোরে বোলার।
১৩৩ ওভার উইকেটের পেছনে দায়িত্ব সামালে বোধকরি বেশ ক্লান্তই ছিলেন ব্ল্যাকক্যাপ্স কিপার ব্যাটার টম বান্ডেল। তাই তো ব্যাটিংয়ে রাবাদাকে নিজের উইকেট দিয়েছেন, দ্রুতই ফিরে গেছেন মোটে ৬ রান করে। তবে একতরফা আধিপত্য দেখানো আফ্রিকান পেসারদের এবারে থামানোর প্রখর প্রচেষ্টা চালায় মিচেল-গ্র্যান্ডহোম জুটি।
শেষমেশ তারা সফলও হয়েছেন অনেকটা। ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলকে ম্যাচে রেখেছেন আংশিক লেজের এই দুই ব্যাটার। পথিমধ্যে ৭ চার এবং ২ ছক্কায় ইতিবাচক ঢংয়ে খেলে গ্র্যান্ডহোম তুলে নিয়েছেন ফিফটি। আর ৪ বাউন্ডারি মেরে ২৯ রানে অপরাজিত আছেন মিচেল।
এদিকে সকালে প্রোটিয়া কাপ্তান বাভুমাকে (২৯) ছেঁটে ফেলে বোলারদের জন্য সাফল্যের দরজা খোলার কাজটা সারেন ম্যাট হেনরি। ভেরেন্নেকেও সস্তায় ফেরান স্বাগতিক দলের এই গোল্ডেন আর্ম। মুল্ডার (১৪), রাবাদা (৬) এদিন আর কাজ চালানোর মতন ব্যাটার হতে পারেননি। উভয়েই পুড়েছেন নিয়েল ওয়েগনারের আগুনে।
কিন্তু পরিশ্রমী ক্রিকেট জাতি হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা এতো সহজে হাল ছাড়েনি। নবম উইকেটে তারা জুড়েছে ৬২ রান, জেনসন এবং কেশব মহারাজের ব্যাটে। ব্যাটার বনে যাওয়া মহারাজ জেমিসনের শিকার হোন ৩৬ রানে, তবে জেনসন অপরাজিত রয়ে যান ৩৭ রান করে। প্রতিপক্ষের হয়ে ওয়েগনার ৪ টি এবং হেনরি ৩ টি করে উইকেট পকেটস্থ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
দক্ষিণ আফ্রিকা (১ম ইনিংস) : ৩৬৪/১০ ; শার্ল এরি ১০৮, এলগার ৪১, মাকরাম ৪২, ভ্যান ডার ডুসেন ৩৫ ; ওয়েগনার ১০২/৪, হেনরি ৯০/৩, জেমিসন ৭৪/২, সাউদি ৭৫/১।
নিউজিল্যান্ড (১ম ইনিংস) : ১৫৭/৫ ; কনওয়ে ১৬, নিকোলস ৩৯, মিচেল ২৯, গ্র্যান্ডহোম ৫৪ ; রাবাদা ৩৭/৩, জেনসন ৪৮/২।
বিডি স্পোর্টস নিউজ/বিপ্রতীপ দাস