বোর্ডের উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে কিছুদিন আগেই জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ বাতিল করেছিল আইসিসি। যে কারণে আইসিসির কোনো ইভেন্টে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছিল আফ্রিকার দেশটি। সেই ধারাবাহিকতায় আসন্ন নারী এবং পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কা সত্যি হলো। তাদের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়েছে নাইজেরিয়া ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার আইসিসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ছেলেদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আঞ্চলিক পর্বে আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে আসর শেষ করেছিল নাইজেরিয়া। তাই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিকার বিকল্প দেশ হিসেবে নাইজেরিয়াকে বেছে নিয়েছে। ফলে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক বাছাইপর্বের বাইরে টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত বাছাইপর্ব খেলবে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই। মূল বাছাইয়ে ১৪তম দল হিসেবে সুযোগ পাচ্ছে। যেখানে নাইজেরিয়া ছাড়াও থাকবে আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, আয়ারল্যান্ড, জার্সি, কেনিয়া, নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। বাকি দুটি দেশ আসবে আমেরিকা অঞ্চল থেকে।
১৪ দলের চূড়ান্ত বাছাইপর্ব থেকে আগামী বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২০ মেন্স টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপ খেলার সুযোগ পাবে মোট ছয় দল।
জিম্বাবুয়ে অংশ না নেয়ার ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ১২ দলের পর্বে অন্তত একটি সহযোগী দেশের খেলার সুযোগ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ের পরে দ্বিতীয় স্থানে ছিলো নাইজেরিয়া নারী ক্রিকেট দল।
এই মাসের শেষে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত বাছাইপর্বে নাইজেরিয়া নারী দলের পাশাপাশি অংশ নিবে হোস্ট স্কটল্যান্ড, বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়ানিউগিনি, থাইল্যান্ড এবং ইউএসএ। টুর্নামেন্ট থেকে চূড়ান্ত হবে শেষ দুই দল যারা অংশ নিবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি ওমেন্স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২০ টুর্নামেন্টে।