সাফ নারী ফুটবলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নেপাল। এর আগে ২০২২ সালে কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনেক নাটকের পর শেষ পর্যন্ত ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিজেদের করে নিয়েছে নেপাল। সেমি ফাইনালে নেপাল-ভারতের ম্যাচটি ছিল নাটকীয় ও উত্তেজনায় ভরপুর। স্টেডিয়ামের গ্যালারিভর্তি দর্শকের চিৎকার আর আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে পুরোটা সময়ই বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।
এর মধ্যে নেপালের এক গোল নিয়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। খেলা বন্ধ থাকে ৬৭ মিনিট। গ্যালারিভর্তি দর্শক উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। এমনকি গ্যালারি থেকে পানির বোতলও পড়েছে মাঠে।
আরও পড়ুন: টিভিতে আজকের খেলা (২৮ অক্টোবর ২০২৪)
ম্যাচের ৭২ মিনিটে শুরু হয় নাটকীয়তা। ওই সময় দূরপাল্লার দারুণ এক শটে ভারতকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন সংগীতা বাসফোর। ভারতীয় ফুটবলাররা যখন গোল উদযাপনে ব্যস্ত, তখনই মধ্যমাঠে বল বসিয়ে নেপালি দল খেলা শুরু করে দেয়। শুধু খেলা শুরুই নয়, ফাঁকা মাঠে বল জালেও পাঠিয়ে দেন প্রীতি রাই। এই সময় ভারতীয় ফুটবলারদের কেউই মাঠে জায়গামতো ছিলেন না। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় ভুটানি রেফারি ওম চাকি খেলা শুরুর বাঁশিও বাজিয়েছেন।
ভারতীয় দল প্রতিবাদ জানায় স্বাভাবিকভাবেই। রেফারিও তার ভুল বুঝতে পারেন। এই সময় পাল্টা প্রতিবাদ জানায় নেপাল দল। গ্যালারি থেকেও শুরু হয় বোতল বর্ষণ। নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় ফুটবলাররাও মাঝমাঠে আশ্রয় নেন। পরে অবশ্য নেপাল মাঠে ফিরলে খেলা শুরু হয়।
সময় যোগ করে ম্যাচের বাকি ১৮ মিনিটের খেলাও ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। খেলা শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই একটি প্রতি আক্রমণ থেকে নেপালকে সমতায় ফেরান সাবিত্রা ভান্ডারি। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর সরাসরি টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ।
আরও পড়ুন: দলের সেবক হয়েই থাকতে চান রিজওয়ান
টাইব্রেকারে নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি, গীতা রানী, সাবিতা রানা মাগার ও অমিশা কারকি গোল বল পাঠান। ভারতের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মনীষা ও কারিশমা সিরভোইকর। তবে অধিনায়ক আশালতা দেবীর শট পোস্টে লেগে ফেরে, চানু সরোখাইবামের দুর্বল শট সহজেই ফেরান টাইব্রেকারের জন্যই বদলি নামা নেপালি গোলকিপার অঞ্জনা রানা মাগার।