গত বছর ঠিক আজকের দিনে অথাৎ ২৮ জুলাই ২০১৮ সালে সর্বেশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ঘরের মাঠে তার ১২৪ বলে খেলা ১০৩ রানের ইনিংসটিতে ভর করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৮ রানে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
এরপর আরো ২০ বার ব্যাট হতে ক্রিজে নামলেও দুই বার রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলনে ফিরতে হয়েছে তাকে। আর ছয় বারতো দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি তামিম। সব মিলিয়ে মাত্র ৩১.৪৪ গড় ও ৭৩.৬০ স্ট্রাইকরেটে ৫টি ফিফটিতে তামিমের সর্বমোট সংগ্রহ ৫৬৬ রান। সর্বোচ্চ স্কোর ৮১।
এদিকে এক বছরে তামিমের ওপেনের সঙ্গী হওয়া লিটন ও সৌম্য সরকার দুজনেই মোট রানের দিক থেকে ছাড়িয়ে গেছেন তাকে। সৌম্য সরকার (৬৮১) এবং লিটন দাস (৬০৩) রান করেছেন। দুজনেরই রয়েছে ১টি করে সেঞ্চুরি।
তবে যদি ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে ২০১৮ সালের ২৮ জুলাইয়ের তামিমের পারফরমেন্সের গ্রাফের দিকে তাকানো হয় তাহলে তিনিই বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। এসময় ৪০ ইনিংসে ব্যাট করে ১৪টি ফিফটির সঙ্গে ৭টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। স্ট্রাইকরেট খানিক কম (৭৯.৬৭) হলেও ৬২.২৮ গড়ে সর্বমোট করেছিলেন ২১৮০ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুশফিক তামিমের চেয়ে ৮০০ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। মুশফিক ৮ ফিফটি ও ৩ সেঞ্চুরিতে ৪৪.৪১ গড়ে করেছিলেন ১৩৭৭ রান। এ সময়ের মাঝে ১১ ফিফটি ও ১ সেঞ্চুরি করা সাকিবের সংগ্রহ ছিল ১২৬০। এ সময় বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানই ১০০০ রানও করতে পারেননি।
তবে শেষ এক বছরে তামিমের ব্যাটিং গড় প্রায় অর্ধেক মাত্র ৩১এ নেমে এসেছে। নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইটা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন যদিও। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ফিরেছেন শূন্য হাতে। আজ রবিবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার নেতৃত্বে ফের মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। নেতৃত্ব দিয়ে নিজের শনির দশা কাটাতে পারবেন কিনা এখন সেটিই দেখার বিষয়।