বিদায়ী ম্যাচে লর্ডসে নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এই ম্যাচে পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
টসে জিতলের দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারলেন না পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমান উল হক। এই উদ্ধোধনী জুটিতে ২৩ রানের মাথায় বাংলাদেশের হয়ে প্রথম প্রতিরোধ গড়লেন সাইফুদ্দিন। ৩১ বল থেকে ১৩ রান করা ফখরকে মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান তিনি।
ফখরকে বিদায়ে পর ইমামকে সঙ্গ দেন বাবর আজম। এই জুটিতে পাকিস্তানকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান তারা। এই জুটিতে দেড়শো রান তোলার পর ফের বাংলাদশকে লড়াইয়ে ফেরালেন সাইফউদ্দিন ৯৮ বল থেকে ৯৬ রান করা বাবর আজমকে এল বি ডব্লিই বানিয়ে প্যাভিলনে ফেরত পাঠালেন তিনি। বাবরের ইনিংসটি ১১টি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল। তার বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেটে তার ও ইমামের গড়া ১৪৮ বল থেকে ১৫৭ রানের জুটিতে ছেদ পড়ে।
বাবর ফিরে যাওয়ার পর দলের ভার কাঁধে তুলে নেন ইমাম। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ব্যাটিংয়ে আসেন মোহাম্মদ হাফিজ। তাকে নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমান। তার সেঞ্চুরিটি আসে ৯৯ বল থেকে যেখানে সাতটি বাউন্ডারি ছিল। তবে সেঞ্চুরি পূরণের পরেই বলেই মুস্তাফিজের বলে ব্যাকফুটে শট খেলতে গিয়ে পায়ের বুটে লেটে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন। এতে হাফিজ ও তার গড়া ৬৬ রানের জুটির সমাপ্তি ঘটে।
ইমামের পর ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি হাফিজও। দলীয় ২৪৮ রানে মিরাজের বলে ব্যক্তিগত ২৭ রান নিয়ে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলনে ফিরতে হয় তাকে। ক্রিজ এখন পাকিস্তানের হয়ে রয়েছে দুই নতুন ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল ও ইমাদ। পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ ৪৩ ওভার শেষে ২৫৩/৪।