বিপিএলের সপ্তম আসর মাঠে গড়ানোর কথা ৬ ডিসেম্বর। তবে এই আসর শেষ অবদি মাঠে গড়াবে কিনা তা নিয়েই এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ বিপিএল কমিটির ও ফ্রাঞ্চাইজি গুলো একাধিক ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
বিশ্বকাপের মধ্যেই বিপিএলের নতুন আসরকে সামনে রেখে দল গোছানোর কাজ শুরু করেছিল ফ্রাঞ্চাইজি গুলো। সে সময় তামিম খুলনা, মুশফিক কুমিল্লার আইকন ক্রিকেটার হিসেবে যোগ দেন।
কিন্তু সাকিব আল হাসান ঢাকা ছেড়ে রংপুরে যোগ দেওয়া পরই বিপিএল কমিটি জানায় ফ্রঞ্চাইজির চুক্তি না হওয়ার পর্যন্ত কোনো চুক্তির বৈধতা নেই। এ সময় সাকিবকে নিয়ে রংপুর ও ঢাকার মধ্যেই দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। যা মিমাংশা এখনো করেতে পারেনি বিপিএল কমিটি।
প্লেয়ার ড্রাফট, ফ্রাঞ্চাইজিদের চুক্তি, প্লোয়ার রিটেনশনসহ একাধিক বিষয়ে চোখে পড়ার মতো কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া চট্টগ্রাম দলটির জন্য আলাদা ভাবে ফ্রাঞ্চাইজি খুঁজে বের করা বাকি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপিএলের সপ্তত আসর মাঠে গড়াতে দুই মাসের একটু বেশি সময় থাকলেও চলতি বছর আসরটি হবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির টানাটানিই বিপিএল নিয়ে অনিশ্চয়তার মূল কারণ। সাকিবকে পাওয়া যাবে না ধরে নিয়ে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নাকি চাচ্ছে না এবার টুর্নামেন্টটি হোক। তাদের চাপে নতুন বিপিএল নিয়ে বিসিবিও ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। আবার উল্টো কথাও আছে।
গভর্নিং কাউন্সিলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার দাবি, শুধু একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নয়। বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই এক বছরে দুটি বিপিএল খেলতে রাজি নয়। বিপিএলের সর্বশেষ আসরটি হয়েছিল এ বছরেরই জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। এসব নিয়ে গভর্নিং কাউন্সিলের কেউই সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।