ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টিতে নতুন চমক সৃস্টি করলো আফগান তরুণ হজরতউল্লাহ জাজাই। শুধু তাই নয় পুরো ইনিংস জুড়ে তার তান্ডবে আইরিশদের অবস্থা নাস্তানাবুদ। আফগানিস্তানের ইনিংসের ২৭৮ রানের মধ্যে ১৬২ রানই জাজাই এর, তাও আবার ৬২ বল খেলে ১৬২ রান। সেই সাথে প্যাকেজ হিসেবে আছে ১৬টি ছক্কা আর ১১টি চার।
তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অ্যারন ফিঞ্চের ১৭২ রানই তাই রেকর্ড হিসেবে টিকে রইল। কিন্তু তার দলের রেকর্ডটা টিকল না। দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর এতোদিন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২০১৬ সালে ২৬৩ রান তুলেছিল তারা। সে রেকর্ড আজ মুছে গেছে দেরাদুনে।
আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তানের এই ম্যাচটিতে একসাথে অনেকগুলো রেকর্ড হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের সঙ্গে সর্বোচ্চ রানের জুটি ও ছক্কার বিশ্বরেকর্ড। জাজাইয়ের মারা ১৬ ছক্কা এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ফিঞ্চেরই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ ছয়। এদিন দলীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও হয়েছে। আফগানরা সব মিলিয়ে ইনিংসে ছয় মেরেছেন ২২টি। টি-টুয়েন্টিতে ইনিংসে মোট ২১টি করে ছক্কা ছিল ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় আফগানিস্তান। হযরতউল্লাহ জাজাই আর উসমান গনি উদ্বোধনী জুটিতেই তুলেন ২৩৬ রান। শুধু ওপেনিংয়ে নয়, টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি।
৪৮ বলে ৭৩ রান করে ইনিংসের ১৮তম ওভারে এসে আউট হন উসমান। পরের ওভারে শফিকুল্লাহও ফেরেন মাত্র ৭ রানে। শেষদিকে নেমে মোহাম্মদ নাবীও ৫ বলে ১৭ করে আউট হন। তবে জাজাইকে থামানো যায়নি।
৬২ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ১৬টি ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ১৬২ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার চেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড নেই।
আর ১৪ রান করতে পারলে সব ধরণের টি-টোয়েন্টিতে ক্রিস গেইলের ১৭৫ রানের বিশ্বরেকর্ডটিও ছাড়িয়ে যেতে পারতেন জাজাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ২৭৮/৩ (জাজাই ১৬২*, গনি ৭৩, শফিকউল্লাহ ৭, নবি ১৭, জাদরান ১*; লিটল ১/৪৯, র্যানকিন ১/৩৫, চেইস ১/৪৩, ডকরেল ০/২৪, গেটকেট ০/৪৮, সিমি ০/১৬, স্টার্লিং ০/২৪, ও’ব্রায়েন ০/৩৫) আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৯৪/৬ (স্টার্লিং ৯১, ও’ব্রায়েন ৩৭, বালবার্নি ২, টাকার ২, গেটকেট ২৪, ডকরেল ০, সিমি ১৭*, পয়েন্টার ১৫*; মুজিব ১/৩০, ফরিদ ১/৪৫, নবি ০/৩৬, জানাত ০/৩০, শিনওয়ারি ০/২৮, রশিদ ৪/২৫)
ফল: আফগানিস্তান ৮৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: হজরতউল্লাহ জাজাই