আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আর কিছু দিন পরেই শুরু হবে অনুশীলন। তবে বিশ্বকাপে ঘরের মাটিতে অনুশীলনে নেওয়ার চাইতে ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নেওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য বিশ্বকাপ আসর শুরুর আগে থেকেই ক্রিকেটারদের পাড়ি জমাতে হবে ইংলিশদের মাটিতে।
বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। সেবার বিশ্বকাপ বসেছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে। দুই দশক পর আবার সেই একই কন্ডিশনে টাইগাররা বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে যেহেতু কন্ডিশন ভিন্ন তাই সেখানে গিয়ে বাড়তি অনুশীলনের বিকল্প নেই। যেহেতু আসর শুরুর আগে ক্রিকেটারদের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা উঠছে তাই ইংল্যান্ডের মাটিতে আগেই পাড়ি জমাতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই ইংলিংশদের মাটিতে ডেরা জমানোর খরচটা বিসিবিকেই বহন করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নিই ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে কত টাকা ব্যায় করেছিল বিসিবি?
যেহেতু আসর শুরুর আগে ক্রিকেটারদের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা উঠছে তাই ইংল্যান্ডের মাটিতে আগেই পাড়ি জমাতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই ইংলিংশদের মাটিতে ডেরা জমানোর খরচটা বিসিবিকেই বহন করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নিই ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে কত টাকা ব্যায় করেছিল বিসিবি?
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ মিশনে টিম বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর হয়ে যাওয়া দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, সেবার ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০ দিন আগেই পাড়ি জমিয়েছিল বাংলাদেশ। ক্রিকেটারদের খাওয়া, থাকা, যাতায়াতের জন্যে একটি বাস ভাড়া করা হয়েছিল। একইসঙ্গে কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নিতে স্পিন কোচ ও সাবেক এক পেসারকে নিয়োগ দিয়েছিল। এছাড়া নিজেদের খরচে খেলেছিল তিনটি প্রস্ততি ম্যাচ। সব মিলিয়ে খরচ হয়ে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ লক্ষ্য টাকা।
২০১৯ বিশ্বকাপেও ৪ সপ্তাহ আগে দেশ ছাড়বে ক্রিকেটাররা। তবে এবার সরাসরি ইংল্যান্ডের মাটিতে নিজেদের ডেরা জমাবে না টাইগাররা। ইংল্যান্ডের প্রতিবেশি দেশ আয়ারল্যান্ডে আগামী ৫ মে থেকে তিন জাতি ক্রিকেটে অংশ নেবে টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডের তিন জাতি ক্রিকেটের ফাইনাল ১৭ মে। এক অর্থে ঐ তিন জাতি টুর্নামেন্ট দিয়েই শুরু হবে দেশের বাইরে টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি।
এই টুর্নামেন্ট শেষ হতে না হতেই বিশ্বকাপ শুরুর দ্বারপ্রান্তে চলে আসবে। যেহেতু এবারের বিশ্বকাপে বিসিবি কত টাকা খরচ হবে সেটি অনেকেই আন্দাজ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে একটি ধারণা দিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান।
তার ভাষ্যমতে, বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ড যাবে ২২ মে। আর বাংলাদেশের প্রথম অফিসিয়াল গা গরমের ম্যাচ ২৬ মে। যেহেতু বিশ্বকাপে শুরুর ৫-৭ আগে থেকে অংশ নেওয়া দল গুলোর খরচ বহন করে আইসিসি। তাই আইসিসি বাংলাদেশের সব খরচই বহন করবে তারা।
তাহলে এখানে একটিই প্রশ্ন তাহলে বিশ্বকাপে বিসিবির কোনো অর্থই ব্যয় করতে হবে না? উত্তরটি হবে। কারণ যেহেতু আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ হচ্ছে ১৭ মে। সেখান থেকে ২২ মে ইংল্যান্ডের মাটিতে পা দেবে তারা। মধ্যে পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিন ক্রিকেটারদের খাওয়া থাকার সব খরচই বহন করবে বিসিবি।
কাজেই এবার আর ১৯৯৯ সালের মত প্রস্তুতি খাতে অত বিপুল অংকের অর্থ খরচ হবে না। সর্বোচ্চ হয়তো ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে বিসিবির পকেট থেকে।