গতবছর বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ান তিন ক্রিকেটারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন সময়ে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা হলেন সে সময়ের অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার এবং ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফট। টেম্পারিংয়ের কারণে স্মিথ-ওয়ার্নারকে ১ বছর ও ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। গেলো বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ শেষ হলো স্মিথ এবং ওয়ার্নারের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা আর ব্যানক্রফটের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে আগেই।
নিষিদ্ধ অবস্থাতে তো সবসময় আলোচনা সমালোচনাতে ছিলেনই কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে না হতেই ওয়ার্নারকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে নতুন এক বিতর্কের খেলা। অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে বল টেম্পারিংয়ের মূল হোতা নাকি ছিলেন ওয়ার্নার। আর ওয়ার্নারকে যদি নিষিদ্ধ না করা হতো তাহলে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চার ক্রিকেটার। তারা হলেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন এবং জশ হ্যাজেলউড।
আর এই কারণেই নিষেধাজ্ঞা শেষে ওয়ার্নার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলে অস্ট্রেলিয়ান ড্রেসিংরুমে বিভেদ বাড়ার শংকা করছে গণমাধ্যমগুলি। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কেভিন রবার্টস অবশ্য সে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘দেখুন কাজের ক্ষেত্রে তো সবার সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব হবে না, সম্পর্কের ভিত্তিটা সম্মান হলেই ভালো।’
নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে যাওয়ায় স্মিথ-ওয়ার্নারের অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরতে এখন আর কোন বাঁধা নেই। এই বছরের জুনে শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ড-ওয়েলস বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়া দলে থাকা নিশ্চিত তাদের। এমনকি সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া ক্যাম্পেও ছিলেন তারা দুজন।
যদিও সে ক্যাম্পে ছিলেন না টিম পেইন, মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজেলউড। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া প্রধান রবার্টস এই বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেননা।