ঢাকায় ফিরেও ডায়নামাইর্সের কপাল ফিরল না। মিরপুরে কুমিল্লার দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে ৯ উইকেট ১২৬ রানের বেশি তুলতে পারল না তারা। ১ রানের জয় নিয়ে টেবিলের প্রথম স্থানে পৌঁছে গেল কুমিল্লা। আর অপরদিকে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে প্লে-অফ পর্বে খেলার শঙ্কা দূর হলো না ঢাকার।
কুমিল্লার বিপক্ষে প্লে অফ পর্ব নিশ্চিতের লড়াইয়ে ঢাকার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তারা উপুল থারাঙ্গার উইকেট হারায়। তিনি ৬ বল থেকে শুন্য রানে ফেরেন। অন্য ওপেনার মিজানুরের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এদিন হাসেনি রনি তালুকদার ও সাকিব আল হাসানের ব্যাট। রনি ১ ও সাকিব ৭ রান করে বিদায় নেন।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ২৯ টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান হারিয়ে চাপে পড়া ঢাকাকে টেনে তোলেন নারিন ও পোলার্ড। এই জুটিতে ৪২ রান তোলার পর প্রতিরোধ গড়েন আফ্রিদী। তিন ২৪ বল থেকে ২২ রানে কার নারিনকে বিদায় করেন।
ষষ্ঠ উইকেটে পোলার্ডকে সঙ্গ দেন রাসেল। এই জুটিতে ১৯ রান তোলার পর ঢাকা শিবিরে জোড়া আঘাত আনেন সাইফুদ্দিন। তিনি প্রথমে ৩৩ বল থেকে ৩৪ রান করা পোলার্ডকে বিদায় দেন । পরের বলে সোহানকে শুন্য রানে ফেরান। এ সময় ঢাকার স্কোর ১৬.৫ ওভারে ৯০/৭ উইকেট।
এরপর ইনিংসের ১৮তম ওভারে দুটি ছক্কায় মোট ১৭ রান তুলে ব্যবধান কমিয়ে আনেন রাসেল। ১৯তম ওভারে ওয়াহাবের প্রথম বলে রাসেলর আঘাত করা বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হলে রিপ্লেতে দেখা যায় সেটি নো বল। তবে ওয়াহাব এই ওভারটিতে ৭ রানের বেশি খরচ করেননি। একই সাথে শুভাগতর উইকেট তুলে নেন।
শেষ ওভারে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। সাইফুদ্দিন প্রথমে রুবলের উইকেট তুলে নেন। শেষ উেইকেটে ব্যাট করতে আসা শাহাদান সিঙ্গেল নিলে রাসেলকে স্টাইক দেন। এ সময় ঢাকার প্রয়োজন ৪ বল থেকে ১২ রান। তবে ওভারে তৃতীয় ও চতুর্থ বল থেকে কোনো রান দেননি সাইফ। তবে পঞ্চম বলে রাসেল ছক্কা হাঁকালে ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা থেকে যায় ঢাকার। শেষ বলে ঢাকার ৬ রান প্রয়োজন হলে সাইফের ইয়র্কার লেন্থের বল থেকে ৪ রানের বেশি তুলতে পারেননি রাসেল। ফলে ১ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়ে যায় কুমিল্লা।
কুমিল্লার হয়ে এদিন ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন সাইফ। মেহেদি হাসান ২২ রানে নেন ২টি উইকেট। ওয়াহাব, মোশারফ ও আফ্রিদী নেন ১টি করে উইকেট।