ক্যারিবিয়ান পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে দেওয়ার শাস্তির কারণে এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে আইসিসির ভূমিকা। ক্রিকেটকে আকর্ষনীয় করার জন্য স্টাম্প মাইক্রোফোন ব্যবহার করে খেলাকে আরো আকর্ষনীয় করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। তবে এই মাইক্রোফোন দিয়েই স্লেজিংয়ের সামান্যতম কথাবার্তার জন্য শাস্তির মুখের পড়তে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। তাই আইসিসি কি কিছুটা হলেও দু’মুখো নীতি নিচ্ছে না ? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটের উদ্দেশে ‘সমকামী’ মন্তব্য করার জেরে আইসিসি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো চারটি ওয়ান ডে-তে সাসপেন্ড করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পেসারকে। স্টাম্প মাইক্রোফোনে ধরা পড়েছিল রুটের কথা, ‘‘সমকামী অন্যায় কিছু নয়। এই নিয়ে বিদ্রুপ করা ঠিক নয়।’’ কিন্তু গ্যাব্রিয়েল তাঁকে কী বলেছেন, সেটা রুট বলতে চাননি।
বৃহস্পতিবার ক্ষমা চেয়ে ক্যারিবিয়ান পেসার এক বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন, ‘‘আমি বল করতে যাওয়ার সময় রুট আমার দিকে তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। আমি তখন খুব টেনশনে ছিলাম। রুটের দিকে তাকিয়ে বলি, কী ব্যাপার। আমার দিকে তাকিয়ে হাসছ কেন? তুমি কি ছেলেদের পছন্দ করো? আমি ভেবেছিলাম, কথাটা কাউকে আঘাত করবে না। নিছকই একটু মজা করে বলা। পরে বুঝতে পারি, অনেকে হয়তো আহত হয়েছেন আমার কথা শুনে। তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এখন আর রুটের সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই।’’
আইসিসির প্রাক্তন ম্যাচ রেফারিদের কেউ কেউ মনে করছেন, স্টাম্প মাইক্রোফোন থাকার কারণে মাত্রাছাড়া স্লেজিং বন্ধ হয়েছে। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার বন্ধ হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি এও বলা হচ্ছে, অতিরিক্ত কড়া হতে গিয়ে যেন খেলাটাকে ম্যাড়ম্যাড়ে করে না দেয় আইসিসি।
এর আগের টেস্টেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে মন্থর ওভার রেটের জন্য এক টেস্ট সাসপেন্ড করেছিল আইসিসি। মাইকেল ভনের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা বলেছিলেন, ‘‘যে টেস্ট আড়াই দিনে শেষ হয়ে যায়, সেখানে মন্থর ওভার রেটের জন্য কোনও দলের অধিনায়ককে কী ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়?’’ হোল্ডারকে নিয়ে ঝামেলা শেষ হতে না হতেই শুরু গ্যাব্রিয়েল- বিতর্ক।