চেলিসর বিপক্ষে দুই গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শততম গোলের মাইলফলকে স্পর্শ করেছেন বার্সেলোনার প্রাণভ্রমরা আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। আর তাইতো ক্লাবের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠা ও নিজের শততম গোল করা নিয়ে দারুন উচ্ছাসিত দেখা গেছে মেসিকে।
বুধবার রাতে বার্সেলোনার নিজের মাঠ ক্যাম্প নুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের খেলাটি প্রথম থেকেই ছিল মেসিময়। খেলা শুরু হওয়ার মাত্র দ্বিতীয় মিনিটের অষ্টম সেকেন্ডে নিজের ক্যারিয়ারের দ্রুততম গোলটি করে ম্যাচে নিজের গোলের একাউন্ট খোলেন তিনি। এর আগে মেসির দ্রুততম গোলটি ছিল ২০০৯ সালে রেসিং সানটেন্ডের বিপক্ষে দুই মিনিট ছেচল্লিশ সেকেন্ডে।
অসাধারণ নৈপুণ্যে জোড়া গোল করে ও উসমানে দেম্বেলেকে দিয়ে এক গোল করিয়ে চেলসিকে ৩-০ গোলে হারানোয় আজেন্টাইন ফরোয়ার্ডের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে গত মাসে ১-১ গোলে ড্র করা এরনেস্তো ভালভেরদের দল দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ আটে ওঠে।
ম্যাচ শেষে উয়েফাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, “এই ধরনের চমৎকার একটি প্রতিযোগিতায় ১০০ গোলে পৌঁছাতে পেরে আমি খুশি। খুবই ভালো অনেক খেলোয়াড় থাকা এমন একটি দলের বিপক্ষে এগিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।”
“শুরুতেই আমরা গোল করতে পেরেছিলাম। এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেভাবে ম্যাচটির সবকিছু ঘটেছে তা নিয়ে আমি খুশি।”
“এটা কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। দল হিসেবে আমরা শক্তিশালী ছিলাম। যখন আমরা তৃতীয় গোলটি করলাম তখনই ম্যাচটা কার্যত আমাদের হয়ে যায়।”
চেলসির কোচ আন্তোনিও কোন্তে ম্যাচ শেষে মেসির প্রশংসা করে বলেন ৩০ বছর বয়সী মেসি বিশ্বসেরা এবং বার্সেলোনা দলে থাকা মেসির উপস্থিতিই ম্যাচটিতে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
মেসি কোন্তের করা প্রশংসা নিয়ে বলেন, “আমি তার কথা শুনিনি। তবে তারা আমাকে বলেছে তিনি কী বলেছেন। তার কথাগুলোর জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।”
“রাতটা যেভাবে শেষ হয়েছে তাতে আমি খুশি। খুশি কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার জন্য যা আমরা চেয়েছিলাম।”