জয় দিয়ে আসর শেষ করল অলক কাপালির সিলেট সিক্সার্স। তাদের দেওয়া ১৬৬ রানের জবাবে ১৩৬ রানে শেষ হলো মুশফিকের চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংস। সিলেট জয় পেল ২৯ রানে। চলতি আসরে ১২ ম্যাচে চার জয় দিয়ে গ্রুপ পর্বে ষষ্ট স্থানে থেকে আসর শেষ করল তারা।
প্লে অফ পর্ব নিশ্চিত করা চিটাগংয়ের আজকের ম্যাচটি ছিল সাইড বেঞ্চে থাকা ক্রিকেটারদের দেখে নেওয়ার পালা। সেই সুবাদে আজ চিটাগংয়ের একাদশে জায়গা পান মোহাম্মদ আশরাফুল। সিলেটের দেওয়া রান তাড়া করতে তিনি আজ ডেলপোর্টের সঙ্গে উদ্ধোধনী জুটিতে ব্যাটিংয়ে নামেন।
প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে আশরাফুল করেছিলেন ২৫ রান। তাই আজ তার কাছে শেষ সুযোগ ছিল নিজেক প্রমাণ করার। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন আশরাফুল। ২ বল থেকে শূণ্য রানে উইকেট রক্ষকের হাতে বল জমা করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান তিনি। অন্য ওপেনার ডেলপোর্ট ফেরেন দলীয় ৩ রানে। ২ রানে তিনি ইবাদত হোসেনের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। তবে তৃতীয় উইকেটে দলকে টেনে তোলেন ইয়াসির আলী ও মুশফিক। এই দুই ব্যাটসম্যান যোগ করেন ৪২ রান।
দলীয় ৪৫ রানে জেসন রয় বাউন্ডারি থেকে এক হাতে ইয়াসিরের অসাধারণ একটি ক্যাচ নিয়ে তাকে থামান। কাপালির বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ২৭ বল থেকে ২৭ রান করেন।
চতুর্থ উইকেটে আসা মোসাদ্দেক এদিন ১৫ বল থেকে ২৫ রানের ছোট ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে খেলায় ফেরান। তার ইনিংসটি ২টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল। এ সময় চিটাগংয়ের স্কোর ১১.২ ওভারে ৮০/৪। পঞ্চম উইকেটে ব্যাট করেত আসা রাজা ৮ বল থেকে ৫ রান করে নেওয়াজের বলে উইকেট হারালে ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান চিটাগং।
এ সময় চাপ সামলে এক প্রান্ত থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করে চিটাগংকে ম্যাচে রাখেন মুশফিক। তবে ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হয়ে ইনিংসের ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জাকের আলীর থ্রোতে রান আউট হন তিনি। এতে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মুশফিকের ৩২ বল থেকে ৪৮ রানের ইনিংসের ইতি হয়।
ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাট করেত আসা শানাকা দলীয় ১২৯ রানের মাথায় ইবাদতের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভিলজনের সঙ্গে তার ১৯ রানের জুটির সমাপ্তি ঘটে। এ সময় চিটাগংয়ের ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ১৭ বল থেকে ৩৭ রান। তবে ইবাদতের করা চতুর্থ বলে ভিলজন ফিরে গেলে সিলেটের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়। ৮ বল থেকে ১৫ রান করেন তিনি।
শেষ দুই ওভারে চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। তবে পার্নেলের করা দ্বিতীয় বলে রাহী এবং তৃতীয় বলে খালেদ ফিরে গেলে ১৩৬ রানে অল আউট হয় চিটাগং। সিলেট জয় পায় ২৯ রানে।
সিলেটের হয়ে এদিন ১৭ রানে ৪টি উইকেট নেন ইবাদত। তাসকিন ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। এদিন তিনি পায়ে টান লাগায় মাঠ ত্যাগ করেন। এছাড়া পার্নেল ২টি ও কাপালি ও নেওয়াজ নেন ১টি করে উইকেট।
সিলেট সিক্সার্স এর হয়ে এবাদত হোসেন ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হন।