বাংলাদেশ শ্রীলংকার মধ্যে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশ আজ তাদের সর্বোচ্চ স্কোর করেছে। কিন্তু এতোবড় স্কোর করার পরও ম্যাচটি শেষে বাংলাদেশের জন্য হতাশায় পরিণত হলো। শেষ পর্যন্ত খুব সহজেই জয় পেয়ে গেলো শ্রীলংকা। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে হতাশার ব্যাপারটি হলো টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোর গড়ার রেকর্ড গড়েও হারতে হলো।
অন্য দিকে রেকর্ড যে শুধুমাত্রই বাংলাদেশই করেছে তা কিন্তু নয় রেকর্ডার মালিক শ্রীলংকা নিজেও। টি-টোয়েন্টিতে যে এটিই তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। তাদের আগের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৭৩ রান করে জয়।
যদিও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কখনো ২০০ রান করার রেকর্ড নেই। তারপরেও আজকের রানের স্কোর বাংলাদেশকে একটা আশার সঞ্চার করেছিল। মুশফিকের ৪৪ বলে ৬৬, ফর্মে ফেরা সৌম্য সরকারের ৩২ বলে ৫১ আর ক্যাপ্টেন মাহমুদুল্লাহর ৩১ বলে ৪৩ রান বাংলাদেশী সমর্থকদের মনে বিশাল আসার সঞ্চার করেছিল।
কিন্তু বোলারদের ব্যার্থতা সকল আশা ভরসা মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। রুবেল হোসেনের মতো অভিজ্ঞ বলার যখন নিজের ৪ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই রান দেয়ার হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন তখন বুঝতে হবে কি ছিল বাংলাদেশী বোলারদের অবস্থা। শুধুমাত্র নতুন অভিষিক্ত নাজমুল হাসানই ভালো করার মতো কিছু করেছেন। চার ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে গুনাতিলাকা ও থারাঙ্গার মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৯৩/৫ (জাকির ১০, সৌম্য ৫১, মুশফিক ৬৬*, আফিফ ০, মাহমুদউল্লাহ ৪৩, সাব্বির ১, আরিফুল ১*; মাদুশাঙ্কা ০/৩৯, গুনাথিলাকা ১/১৬, উদানা ১/৪৫, থিসারা ১/৩৬, দনঞ্জয়া ০/৩২, জিবন ২/২১)।
শ্রীলঙ্কা: ১৬.৪ ওভারে ১৯৪/৬ (কুসল ৫৩, গুনাথিলাকা ৩০, থারাঙ্গা ৪, শানাকা ৪২*, ডিকভেলা ১১, থিসারা ৩*; নাজমুল ২/২৫, সাইফ ০/৩৩, মাহমুদউল্লাহ ০/২৩, রুবেল ১/৫২, মুস্তাফিজ ০/৩২, আফিফ ১/২৬)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে শ্রীলঙ্কা ১-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুসল মেন্ডিস