8.8 C
New York
Thursday, March 28, 2024

Buy now

তামিমের ১৪১ রানের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ঢাকাকে ২০০ রানের টার্গেট দিলো কুমিল্লা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ আসরের ফাইনালের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস। এই ম্যাচে ঢাকা টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা। তবে তামিম ইকবালের ১৪১ রানে ভর কর ঢাকার সামনে ১৯৯ রানের পাহাড় গড়ল কুমিল্লা। শেষ ৩৫ বল থেকে আসে ৮৪ রান। ফাইনাল জিততে ঢাকার করতে হবে ২০০ রান।

এদিন কুমিল্লার শুরুটা একেবারের ভালো হয়নি। দলীয় ৯ রানের সময় ৬ রানে ফেরেন ইভান লুইস। রুবলের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে তামিমকে সঙ্গ দিতে আসেন এনামুল হক বিজয়। এই জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬ ওভারে ৪০ রান তোলে তারা।

এই জুটিতে অষ্টম ওভারে কাজী অনিকের বলে দুই ব্যাটসম্যানই জীবন পান। বিজয়ের ক্যাচ ফেলেন রুবেল আর উইকেটের পেছনে তামিমের ক্যাচ ফেলেন সোহান। এরপরেই ৩১ বল থেকে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন তামিম।

দলীয় স্কোর যখন ৯৮ তখন সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হন বিজয়। যদিও বলটি ব্যাটে লেগেছিল। কিন্তু রিভিউ না থাকায় ৩০ বল থেকে ২৪ রান করে প্যাভিলনে ফিরে যেতে হয়। একই ওভারে রান আউটে ০ রান নিয়ে ফিরে যান শামসুর রহমান। এ সময় কুমিল্লার স্কোর ১২.২ ওভারে ৯৯/৩।

চতুর্থ উইকেটে তামিমকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক কায়েস। এই জুটিতে তামিম বিদ্ধাংসী রূপ ধারণ করেন। রুবলের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে আসে ২৩ রান। যার মধ্যে ২টি চার ২টি ছক্কা ও একটি ডাবলে তামিম নেন ২২ রান। এরপর ইনিংসের ১৭তম ওভারে নিজের বিপিএল ক্যারিয়ারের শতক তুলে নেন। ৫০ বল থেকে করেন ১০৩ রান। এ সময় তিনি হাঁকিয়েছেন ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা। অথাৎ, পরের ৫০ রান নেন মাত্র ১৯ বল থেকে।

শতক পূরণ করার পর তামিম অব্যহত রাখেন তার বিধ্বংসী ব্যাটিং। তার চার-ছক্কার ইনিংসের ফুলঝুড়িতে নির্ধারীত ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৯৯ রানে থামে কুমিল্লা। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৬১ বল থেকে ১৪১ রানের ইনিংস। এটিই বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ১০ টি চার ও ১১টি ছক্কার মার ছিল। তামিমের স্ট্রাইকরেট ছিল ২৩১.১।

তিনিই এখন বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১০ টি ছক্কার মালিক।অন্য প্রান্তে থাকা কায়েস ২১ বল ১৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে ঢাকার হয়ে সবাই খরুচে ছিলেন রুবলে। তিনি ৪৮ রানে এবং সাকিব ৪৫ রানে ১টি করে উইকেট নেন। সাকিব এখন টুর্নামেন্টে ২৩ উইকেটে নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় প্রথমে উঠে আসলেন।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,913FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles