বুধবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলের দ্বিতীয় লেগে প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে শেষ আটে উঠল বার্সা। অলিম্পিক লিওঁকে ৫-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছেন তারা। ম্যাচে দুটি গোল এবং দুটি অ্যাসিস্ট করেন মেসি। এর আগে লিওঁর ঘরের মাঠে গোল শূন্য ড্র করেছিল বার্সা।
এই নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে বার্সার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত (২৭ জয়, তিন ড্র) থাকল বার্সা। যা প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড। একই সঙ্গে এদিন রেকর্ড ১২ বার একটানা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পৌঁছে যায় বার্সা।
ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় দেনায়ের নিজেদের বক্সে স্লাইড করে সুয়ারেজকে ফাউল করেন এবং রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন৷ ১৭ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে মেসি ১-০ এগিয়ে দেন বার্সেলোনাকে ৷ ৩১ মিনিটে সুয়ারেজে পাস থেকে গোল করে বার্সার ব্যবধান ২-০ করেন কুটিনহো ৷ প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়ে কাতালান ক্লাবের অনুকূলে ২-০ গোলে৷
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হওয়ার অষ্টম মিনিটে একটি গোল শোধ করে লিওঁ। বাঁ দিক থেকে বার্সেলোনার ডি-বক্সে উড়ে আসা বল ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান তুজা। বুক দিয়ে বল নামিয়ে নিচু শটে ব্যবধান কমান ফরাসি এই মিডফিল্ডার।
৭৮ মিনিটে মেসির গোলে স্কোরলাইন ৩-১ হয়। ক্লাব ফুটবলে ইউরোপ সেরার আসরে চলতি মৌসুমে মেসির এটি অষ্টম গোল। ৮১ মিনিটে পিকেকে গোলের পাস বাড়াল এলএস টেন এবং পিকো গোল করে স্কোরলাইন ৪-১ করেন৷
এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত গোলের নিরিখে পিকে ছুঁয়ে ফেলেন নিজের অতীতের রেকর্ড৷ ২০১৪-১৫ মুশুমে মোট ৭টি গোল করেছিলেন তিনি৷ এবার লা লিগায় ৪টি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দু’টি ও সুপার কাপে একটি গোল আসে পিকের পা থেকে৷
৮৬ মিনিট পর আবারও মেসি জাদু। এবার গোলদাতা কুতিনহোর পরিবর্তে নামা ডেম্বেলে। মাঝমাঠের কাছ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে বাঁ দিকে পাস বাড়ান তিনি। দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে ফাঁকায় বল কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরাসি এ তারকা।