দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্ব ক্রিকেটে এক বিধ্বংসী দলের নাম। সময়ে সময়ে ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্থান। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাদে দক্ষিণ আফ্রিকা কেন জানি চোকার্স বলেও বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত। যখনি শুনবেন বড় কোনো টুর্নামেন্টের কথা, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে সকলের মনে কাজ করে তাদের যেহেতু অসাধারণ সব ক্রিকেটের আছে এবারের শিরোপাটা বুঝি তাদের ঘরেই যাবে। কিন্তু শেষ অবধি শিরোপাটি তাদের অধরায় থেকে যায়। বরং বার বিদায় নিতে হয় খালি হাতেই। এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলেও তাদের ঘরে নেই কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা।
তেমনি ২০১৫ বিশ্বকাপের যোগ্য দাবিদার হয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে হাশিম আমলা, ডি কক, ডেল স্টেইন, ডি ভিলিয়ার্সের মতো অসাধারণ সব তারকা ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও খালি হাতে বাড়ির পথ ধরতে হয় তাদের।
২০১৯ বিশ্বকাপে আর দেখা যাবেনা দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার তথা ক্রিকেট বিশ্বের পোস্টারবয় খ্যাত এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। কারণ পরিবারকে সময় দেয়ার কথা চিন্তা করে ১১৪ টেস্ট ২২৮ ওয়ানডে ও ৭৮ টি-২০ খেলা কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ভিলিয়ার্স ক্রিকেট ছেড়েছেন আগেই। তবে উইকেটের চারদিকেই ব্যাট ঘোরাতে পারা ‘৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান’ বলে পরিচিত ডি ভিলিয়ার্সকে ক্রিকেট প্রিয় মানুষগুলিকে এখনো তার বিধ্বংসী রূপে দেখতে পায় বিভিন্ন দেশের লিগগুলির কল্যানে।
আইপিএল, পিএসএল সহ বিশ্বের সেরা সব লীগ খেলে সময় পার করছেন ভিলিয়ার্স। বিপিএল খেলতে এসেছেন বাংলাদেশে। রংপুর রাইডার্সের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভবনা নিয়ে কথা বললেন ভিলিয়ার্স। তার মতে, বাংলাদেশ দলে সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর মতো কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন যারা অনেকদিন ধরে বাংলাদেশের জন্য খেলছেন এবং দলকে জেতাতে পারছেন।
তিনি মনে করেন বাংলাদেশ যদি সঠিক পরিকল্পনা সঠিক সময়ে কাজে লাগাতে পারে তাহলে বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আসলে সবচেয়ে বড় কথা হলো মাঠে আপনি পরিকল্পনা সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারছেন কিনা। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ভালো দল হয়ে উঠছে এবং আমার বিশ্বাস বিশ্বকাপে তারা ভালো করবে।’