ক্রাইস্টচার্চে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম ওযানডের মতো এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ টপ অর্ডার। তবে মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ মিঠুন ও সাব্বিরের ব্যাটে ভর করে মান বাঁচালো বাংলাদেশ। সিরিজ জিতে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ২২৭ রান।
দলীয় ১৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরে যান। শুরুতে ৪ বল থেকে ১ রান করে বোল্টের বলে সার্কেলের মধ্যে ক্যাচ আউট হন লিটন। এরপর বৃষ্টি বিরতি থেকে ফিরলে তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাট হেনরির বলে এল বি ডব্লিই হওয়ার আগে তিনি ২৮ বল থেকে ৫ রান করেন।
তৃতীয় উইকেটে মুশফিক ও সৌম্য ৩২ রান যোগ করেন। ইনিংসের ১৩তম ওভারে গ্রান্ড হোমের করা দ্বিতীয় বলটিতে সৌম্য টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।২৩ বল থেকে ২২ রান করেন তিনি।
দলীয় ৮১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুইবার জীবন পাওয়া মুশফিক এ সময় গ্রান্ডহোমের বলে ৩৬ বল থেকে ২৪ রান করে বিদায় নেন। এর ১২ রানের ব্যবধানে মাহমুদু্ল্লাহ ব্যাক্তিগত ৭ রানে আউট হন।
ষষ্ঠ উইকেটে সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে বড় রানের জুটি গড়ে তোলেন মিঠুন। এই জুটিতে তারা তোলে ৭৫ রান। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মিঠুন। তবে এরপরেই নিজের উইকেট হারিয়ে বসেন তিনি। টোডোর বলে কাট করতে গিয়ে ৬৯ বল থেকে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হন।
মিঠুনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মিরাজ বেশি সময় ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। দলীয় স্কোর যখন ১৯০ তখন সার্কেলের মধ্যে নিশামকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মিরাজ। ২০ বল থেকে ১৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দলীয় সংগ্রহ দুইশো পেরুনোর পর বিদায় নেন অন্য সেট ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান তিনি এদিন ফরগুশনের বলে আউট হওয়ার আগে ৬৫ বল থেকে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি ৭টি বাউন্ডারির মার ছিল।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শেষ দিকে সাইফুদ্দীন ১০ ও মাশরাফি ১৩ রান করলে ৪৯.৪ ওভারে ২২৬ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ফারগুরশন ৪৩ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট।এছাড়া ৫২ রানে টড নেন ২টি উইকেট। এছাড়া নিশাম ২টি ও জেনরি, গ্রান্ডহোম ও বোল্ট ১টি করে উইকেট নেন।