ইতিহাস সৃষ্টি করল ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় কখনও দ্বিপাক্ষিক একদিনের সিরিজ জেতেনি ভারত। এই প্রথমবার সিরিজ জিতে সেই নজিরই গড়ল বিরাট কোহালির দল। এর আগে টেস্ট সিরিজও জিতেছিল ভারত। যা আগে কখনও হয়নি।
২০১৯-এ স্বপ্নের শুরু মহেন্দ্র সিং ধোনির৷ তিন ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি এল ধোনির ব্যাট থেকে৷ এটি ধোনির ৭০তম ওয়ান ডে হাফ-সেঞ্চুরি৷ অ্যাডিলেড ওভালের পর মেলবোর্নেও ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন মাহি৷ ২৩১ রান তাড়া করে চাল বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত৷ সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ জিতে নিল কোহলি অ্যান্ড কোং৷
এদিন টসে জিতে প্রথম বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি অজিদের। শুরুতেই ফিরতে হয়েছে দুই ওপেনারকে। অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ফিরেছেন ১৪ রানে। মিডল অর্ডারে শন মার্শ (৩৯) ও পিটার হ্যান্ডসকম্বের (৫৮) যুগলবন্দিতে কিছুটা এগিয়ে যায় ব্যাগি গ্রিনরা।
তবে তাঁরা বেশি দূর স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। মার্শ, হ্যান্ডসকম্ব যুজবেন্দ্র চাহলের স্পিনে উইকেট দিয়ে ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অজি ব্যাটিং। শেষ পর্যন্ত সব উইকেট খুইয়ে ২৩০ রানই করতে পারে তারা। ১০ ওভারে ৪২ রান খরচ করে ৬টি উইকেট তুলে নিয়ে রেকর্ড গড়েন চাহাল৷ পাশাপাশি অজি ইনিংসে কাঁপন ধরিয়ে ম্যাচের সেরা হলেন ভারতীয় এই লেগ-স্পিনার৷
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত একেবারে মন্থর গতিতে হাঁটতে শুরু করে। রোহিত, ধাওয়ানের স্লো ব্যাটিংয়ে আসকিং রেট বাড়তে থাকে। তবে দুই ওপেনার ফিরে যেতেই ম্যাচের স্টেয়ারিং নিজেদের হাতে নিয়ে নেন বিরাট ও ধোনি। দু’জনে তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রান যোগ করলেন। ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি।
বিরাট কোহলি ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে কেদার যাদবের সঙ্গে ধোনির জুটিই জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যায় ভারতকে। কেদারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ১৯.২ ওভারে ১২১ রান যোগ করলেন ধোনি।
শেষ ওভারে চার বল বাকি থাকতে তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত (৪৯.২ ওভারে ২৩৪-৩)। জয় পায় সাত উইকেটে। ১১৪ বলে ধোনি অপরাজিত থাকে ৮৭ রানে। ৫৭ বলে কেদার যাদব অপরাজিত থাকে ৬১ রানে। জয়সূচক স্ট্রোক আসে কেদার জাদবের ব্যাট থেকে।