ইপিএল খেতাবি লড়াইয়ে বড় ধাক্কা খেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে অ্যাওয়ে ম্যাচে তারা এগিয়ে গিয়েও হারল অবনমনের লড়াইয়ে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে। যার ফলে লিগ শীর্ষে থাকা লিভারপুলের যে বিশাল সুবিধা হয়ে গেল সে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সারা ম্যাচে প্রায় ৮০ শতাংশ বল পজেশন ছিল সিটির। তবে ফুটবলে যে গোলই শেষ কথা বলে তা ফের প্রমাণিত হলো।
অবশ্য শুরুতে এমন মনে না হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কারণ প্রথম মিনিটেই সিটিকে এগিয়ে দেন আগুয়েরো। প্রথমার্ধে ছন্দে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই ছন্নছাড়া ছিল সিটি। এই অর্ধে রনডন এবং পেনাল্টি থেকে রিচির গোলে সিটির থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয় নিউক্যাসল। এই হারের পর ২৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে ৬০ পয়েন্টে শীর্ষে লিভারপুল।
অন্য দিকে সিটি হারলেও তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী তথা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিন্তু শেষ মুহূর্তে হার বাঁচাল। ঘরের মাঠে শুরু থেকে চাপ রাখলেও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হন পগবারা প্রথমার্ধে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে অনেকটাই চিত্র পালটে দেন বার্নলে। এক সময় মনে হচ্ছিল নতুন কোচ ওলে গানারের তত্ত্বাবধানে প্রথম ম্যাচ হারতে চলেছে ম্যানইউ। তবে শেষমেশ সেই দৌড় আপাতত অটুটই রইল। ৮৭ মিনিটে পেনাল্টিতে ব্যবধান কমান পগবা। অতিরিক্ত সময়ে ম্যানইউ-র হয়ে সমতা ফেরান লিন্ডেলফ।
অন্য দিকে প্রত্যাশামতো ঘরের মাঠে জয় পেল আর্সেনাল। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে অবামেয়াং এবং লাকাজেতের গোলে তারা হারাল কার্ডিফকে। ফলে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ের মতো জমে গেল প্রথম চারের লড়াইও।
২৪ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আর্সেনাল। ২৪ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে ম্যানইউ। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে টটেনহ্যাম এবং চেলসি – ২৩ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট এবং ২৩ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট।