পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফ্লোরিডায় ঘুরতে যেতে চেয়েছিলেন ম্যারাডোনা। নাতি বেনজামিনকে ডিজনি ওয়ার্ল্ড দেখানোরও ইচ্ছে ছিল তার। এজন্য ভিসার আবেদন করেছিলেন দুবাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসিতে।ভিসা পাচ্ছেন নিশ্চিত ধরে নিয়ে বসে ছিলেন অ্যাম্বাসির সোফায়। কিন্তু তাকে বিস্মিত করে দিয়ে জানানো হয়, দুঃখিত,যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাচ্ছ না তুমি।
প্রয়াত বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো ও হুগো চাভেজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দিয়েগো ম্যারাডোনার সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই শীতল। তাছাড়া, সুযোগ পেলেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের একহাত নিতে ছাড়েন না ডিয়েগো ম্যারাডোনা।
ম্যারাডোনাকে ভিসা না দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা জানান, ভেনেজুয়েলার একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাত্কারের সময় ট্রাম্পকে ‘শিরোলিটা’ (গালি অর্থে পুতুল হিসেবে ব্যবহূত) বলে উল্লেখ করেন তিনি। কিছুটা আফসোস করে মোরলা বলেন, ‘‘আপনি ধারণা করতে পারবেন, আমি দূতাবাসে ছিলাম এবং তাকে বলেছি, ‘দিয়েগো, দয়া করে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে কিছু বলো না।’ কারণ সাক্ষাত্কারটি ছিল টেলেসার (টিভি চ্যানেল) সঙ্গে। আমি জানতাম কী ঘটতে পারে।’ আইনজীবীর সতর্কতা না মেনে ফাঁদে পা দেন ম্যারাডোনা। মোরলা জানাচ্ছেন, ‘‘তাদের দ্বিতীয় প্রশ্নটিই ছিল, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?’ ম্যারাডোনা বলল, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প একটা শিরোলিটা।’ এরপর আমি তাকে বললাম, ‘তোমার আর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া হচ্ছে না। তোমার প্রতিনিধি হিসেবে আমিই মিয়ামিতে যাব।