বিপিএল ২০১৯ আসরের নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল মাহমুদু্ল্লাহর খুলনা টাইটানস। তবে এই ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন তাদের নিত্য সঙ্গী ছিল। নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে তারা মাত্র ১১৭ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে।
ব্যাটিংয়ে আজ খুলনার শুরুটা ছিল আশাব্যাঞ্জক। উদ্ধোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন স্টারলিং ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। এই দুই ব্যাটসম্যানের জুটিতে ৪০ রান আসে। তবে দলীয় ৪০ রানেই ফিরে যান দুই ওপেনার। প্রথমে স্টারলিংকে ১৪ রানে ফেরান মুস্তাফিজ। পরের ওভারে জুনায়েদকে ২৩ রানে বিদায় করেন ইসুরু উদানা্। দলীয় ৪ রানের ব্যবধানে তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা জহুরুলকে ব্যাক্তিগত ১ রানে বিদায় করে আরাফাত সানি। ৪৪ রান ৩ উইকেট হারানো খুলনার হাল ধরতে আসেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।
চতুর্থ উইকেটে রিয়াদ ও মিলান দলকে কিছুটা টেনে তোলেন। তবে ৬৪ রানের সময় রিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটকে রাজশাহীকে এনে দেন মুস্তাফিজ। ১৮ বল থেকে ১১ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মিলান ও পঞ্চম উইকেটে ব্যাট করতে নামা আরিফুল দলকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন। এই জুটিতে ২৮ রান আসার পর আবার রাজশাহীর ধাক্কা। এবার ১৬ বল থেকে ১২ রান করা আরিফুলকে ফিরিয়ে দের লেগ স্পিনার কোয়াইজ আহম্মেদ।
ষষ্ঠ উইকেটে মিলানকে সঙ্গ দিতে আসেন ডেভিড ওয়াইস। এই জুটিতে খুলনার দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরোয়। তবে দলীয় ১০১ রানের মাথায় গুরুত্বপূর্ন মিলানের উইকেটটি খোয়ায় খুলনা। সৌম্য সরকারকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে আউট হন তিনি।
মিলানের বিদায়ের পর আর কেউই খুলনাকে হয়ে ব্যাট হাতে এগিয়ে নিতে পারেননি। শেষ দিকে উইসি ১৪ বল খেলে ১৪ রান করলে ৯ উইকেটে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৭ রান।
রাজশাহীর হয়ে বল হাতে উদানা ৩টি ও মুস্তাফিজ ২ টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি, সৌম্য সরকার ও কোয়াইজ আহম্মেদ।