শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের শীর্ষ ক্রীড়া পত্রিকা লেকিপও আর নেইমারের রিয়ালে যাওয়ার গুঞ্জন থেকে দূরে সরে থাকতে পারলোনা। পত্রিকাটি আশংকা করেছে নেইমারকে হয়তো এক বছরের বেশি ধরে রাখতে পারছেনা পিএসজি। এমনকি সকলের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে তারা আশংকা প্রকাশ করেছে যে, এবারের গ্রীষ্মেই হয়তো নেইমার রিয়াল মাদ্রিদের উদ্দেশ্যে স্পেনে ফিরে যেতে পারে।
নেইমারের রিয়ালের উদ্দেশে পিএসজি ছাড়ার জোর গুজব চলছে গত এক মাস ধরে। আর এরই সূত্র ধরেই পিএসজির জারসিতে নিজের শেষ ম্যাচে ৪ গোল ও ২ এসিস্ট করার পর পিএসজি সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে শুধুমাত্র কাভানিকে পেনাল্টি শট না নিতে দেয়ার কারণে। সে রাতে তিনি মাথা নাড়তে নাড়তে মাঠ ছাড়েন এবং নাচক করে দেন টিভি সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারের প্রস্তাব। এই আচরণ থেকে নেইমার বুঝিয়ে দেন যে ব্যাপারটা পছন্দ হয়নি তার। আর এটাও নেইমারের রিয়াল মাদ্রিদের উদেশ্যে পাড়ি দেয়ার সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে পত্রিকাটি।
লেকিপের মতে ফ্রান্সের ফুটবল অতি বেশি রক্ষণাত্মক আর সেখানকার ডিফেন্ডাররা খুবই শরীরনির্ভর, অন্যদিকে স্পেনে তুলনামূলক কম শরীরনির্ভর খেলা হয়। যদিও স্পেনেও নেইমারের ওপর চড়াও হতো ডিফেন্ডাররা। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো কোনো কিছুর উপর মন উঠে গেলে অনেক ছোট ছোট বিষয় বড় মনে হতে থাকে।
নেইমার অনেক ভালো করেই জানেন ইউরোপের অনেকটাই পিছিয়ে থাকা এই লিগে অন্য লীগ গুলোর চেয়ে বেশি গোল করলেও পয়েন্টের ব্যবধানের কারণে ব্যালন ডি’অর জেতা এখানে প্রায় অসাদ্ধ সাধন হবে। কাভানি-ইব্রাহিমোভিচরা ভুরি ভুরি গোল করেও কখনোই ঠিকমতো আলোচনায় আসেননি। তারমানে ব্যালন ডি’অর পেতে হলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জেতা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।
অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ পড়েছে বিশাল বিপদে! গত চ্যাম্পিওনস লীগ, লা লিগা, ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার পর এবার তারা যেন অনেকটাই বে লাইনে। রোনালদো, বেল, বেনজেমাদের কাছে গোল যেনো হয়ে উঠেছে অধরা অমৃত। শেষ পর্যন্ত পুচকে লেগানেসের কাছে নিজের মাঠে হেরে কোপা দেল রে থেকে বাদই পড়ে গেলো রিয়াল।
এসব দেখে বাধ্য হয়ে রিয়ালের সভাপতি পেরেজ নাকি ডেকেছিলেন এক গোপন বৈঠক। আর বৈঠকের প্রধান লক্ষ্য হলো রিয়ালের অতি প্রয়োজনীয় আসন্ন কিছু অদলবদল নিয়ে। আগামী মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের লক্ষ্য কি হওয়া উচিত সেটিও নাকি এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য। আর নেইমার যে এই বৈঠকের মূল কেন্দ্র বিন্দুতে আছেন তাতে সন্দেহ করার কোনো অবকাশ নেই।