তৃতীয় ওয়ানডের আগে বড় ধরণের দুঃসংবাদ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ইনজুরিতে পড়েছেন মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুন। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৫ রানেই আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৬ রান করেছেন মুশফিক। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলের ত্রাতা বলতে যেন মিঠুনকেই বোঝায়। প্রথম ম্যাচে সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছতে মিঠুনের ৬২ রানের ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে বেশি। আবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই রকম অবস্থা। মিঠুনের ৫৭ রানে ভর করে বাংলাদেশ ২২৬ রানে অল আউট হয়।
দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট মিডিয়াকে এমনটাই জানিয়েছেন। মোহাম্মদ মিঠুনের ইনজুরি নতু হলেও মুশফিকেরটা পুরোনো।
নিউজিল্যান্ডের বৈরি আবহাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশকে পেয়ে বসেছে ইনজুরি সমস্যা। মোহাম্মদ মিঠুন পড়েছেন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে। আর মুশফিককে ভোগাচ্ছে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের পাজরের সেই পুরোনো ব্যাথা। তবে ইনজুরি গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।
নিউজিল্যান্ড সিরিজে মরার উপর খাড়ার ঘা। এমনিতেই নিউজিল্যান্ডের পেস আর বাউন্সে খাবি খাচ্ছে টাইগাররা। তার উপর ইনজুরির হানা। কিউইদের ঘরে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের বেস্ট পারফরমার মোহাম্মদ মিঠুন পেয়েছেন চোট।
বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, আপত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে দুটি ইনজুরিরই মাত্রা কম। আশা করছি স্কান রিপোর্ট দেখে ফিজিও আমদের জানাতে পারবেন। হয়েতো সামনের ম্যাচেও তারা খেলাতে পারবেন।
সামনেই বিশ্বকাপ তাই ক্রিকেটারদের ইনজুরি নিয়ে চিন্তিত্ব বিসিবি। বোর্ডের পরিকল্পনায় চোট মুক্ত থাকতে গাইড লাইন ঠিক করেছে চিকিৎসক প্যানেল।
এ বিষয়ে দেবাশিষ চৌধুরি বলেন, প্রত্যেকটি ক্রিকেটারের বিষয়ে আমরা আলাদা গাইডলাইন তৈরি করেছি। আমার জাতীয় লিগের টিম গুলোকেও জানিয়ে দেবো ক্রিকেটারদের কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু বিশ্বকাপটাই আপতত আমদের প্রধাণ লক্ষ্য।
জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসও ইনজুরিতে মাঠের বাইরে আছেন। খেলায় ফিরতে কমপক্ষে চার সপ্তাহ লাগবে।
কায়েসের ইনজুরি নিয়ে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক ভাবে চললে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে খেলায় ফেরার কার্যক্রম শুরু করেত পারবেন কায়েস।
অপরদিকে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগছেন মিঠুন। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রান নেওয়ার সময় পায়ে টান পড়ে তাঁর। এরপরেও অবশ্য মাঠ ছেড়ে যাননি মিঠুন। দলের দুই ব্যাটিং স্তম্ভকে নিয়ে ম্যানেজার খালেদ মাসুদ জানান,
‘মুশফিক তাঁর পুরোনো পাঁজরের ইনজুরিতে পড়েছে। যদিও আজ সে উইকেটে টিকে ছিল। আমরা তাঁকে ৪৮ ঘণ্টা অবজারভেশনে রেখেছি। দুয়েক দিন পর তাঁর সম্পর্কে বলতে পারব।
‘মিঠুন তাঁর পুরনো হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছে যখন সে আজ সিঙ্গেল নিতে গিয়েছে। এরপরেও সে মাঠ ছাড়েনি। ফিজিওর কথা অনুযায়ী মিঠুনও ৪৮ ঘণ্টা অবজারভেশনে থাকবে।’
ডুনেডিনে ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে বিশ্রাম নিলে সেরে যাবেন মিঠুন, আশা প্রকাশ করছেন দলের অভিভাবক মাসুদ।
‘আশা করছি বিশ্রাম পাওয়ার পর সে সুস্থ হয়ে যাবে। পরবর্তী ম্যাচে সে খেলবে কিনা তা বোঝা যাবে সে তার ইনজুরি কাটিয়ে উঠেছে কিনা তার ওপর।’