সোমবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬ বল ও ৫ উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। চলতি সিরিজে তিন ম্যাচের দুটিতেই জয় আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভোগি করেছিল বাংলাদেশ দল। ১০ ওভারে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট নেমে ভালো সূচনার পর দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল। অ্যাশলে নার্সের ওভারে দুটি ওভারে পর পর ফিরে গেলেন সাকিব ও সৌম্য সরকার।
উদ্ধোধনী জুটিতে ৫৪ রান তোলার পর তামিম ফিরে যান ব্যক্তিগত ২১ রানে। তবে তামিমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার ভালোই জবাব দিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ান বোলারদের। তারা দুজনে মিলে গড়ে তোলেন অর্ধশত রানের জুটি।
যেখানে ক্যারিয়ারের ৯ম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন সৌম্য সরকার। ৫৯ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তবে এরপরই বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন অ্যাশলে নার্স।
নার্সের বলে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সার্কেলের মধ্যে ক্যাচ আউট হন সাকিব। এতে সৌম্য ও সাব্বিরের ৫২ রানের জুটির সমাপ্তি হয়। সাকিব ৩টি বাউন্ডারির মারে ৩৫ বল থেকে ২৯ রান করেন। এ সময় বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ২০.৩ ওভারে ১০৬/৩।
নার্সের পরের ওভারেই ফেরেন অন্য সেট ব্যাটসম্যান সৌম্য। তিনিও সার্কেলের মধ্যে সুনিল অ্যামব্রিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলনে ফিরে যান। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৭ বল থেকে ৫৪ রান করেন সৌম্য।
দুই সেট ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৩ রানের জুটি গড়েন। ২টি করে চার-ছয়ে মিঠুন ৫৩ বলে ৪৩ করে ফিরলে বিচ্ছিন্ন হন দুজনে।
মুশফিকও শেষঅবধি থাকতে পারেননি। তবে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আরেকটি জয় ছোঁয়া জুটি গড়েছেন, ঠিক ৫০ রানের। মাঠ ছাড়ার সময় তার নামের পাশে ঝলমলে ৬৩, ৫ চার ও এক ছক্কায় ৭৩ বলে খেলা।
মাহমুদউল্লাহ বাকি পথটুকু পার পেয়ে এসেছেন। একটি করে চার-ছয়ে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে। সঙ্গী সাব্বির কোনো বলই খেলতে পারেননি!