বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ আসরে নক আউট পর্বে ঢাকার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চিটাগং ভাইকিংস। তবে আগে ব্যাট করেও ঢাকাকে বড় রানের লক্ষ্য দিতে পারল না তারা। নির্ধারীত ২০ ওভার শেষে মাত্র ১৩৫ রান তুলল ভাইকিংসরা।
আজ চিটাগংয়ের হয়ে উদ্ধোধনি জুটিতে ব্যাট করতে আসেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও ইয়াসির আলী। এই জুটির ২২ রানের মাথায় চিটাগং শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন রুবেল হোসেন। এ সময় ৯ বল থেকে ৮ রান করে উইকেটের পিছনে সোহানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়াসির আলী।
দ্বিতীয় উইকেটে আসা সাদমান ও অন্য ওপেনার ডেলপোর্ট কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এই জুটিতে তারা ৩৪ রানের জুটি গড়েন। এটিই ছিল আজ চিটাগং ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি। দলীয় ৫৬ রানে নারিনের বলে কাটা পড়েন ডেলপোর্ট। প্যাভিলনে ফেরার আগে তিনি ২৭ বল থেকে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন।
তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিক। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন তিনি। ৬ বল থেকে ৮ রানে নারিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। মুশফিকের পর দ্রুতই সাদমানকেও ফেরান নারিন। দলীয় ৮১ রানে ১৯ বল থেকে ২৪ রানে ফেরেন তিনি।
এরপর মোসাদ্দেক ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই চিটাগংয়ের হয়ে দুই অঙ্কের ঘরে রান তুলতে পারেননি। ইনিংস বিরতির এক বল বাকি থাকতে ৩৫ বল থেকে ৪০ রান করে রান আউট হন মোসাদ্দেক। তার ইনিংসটি ৩টি চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ছিল। তার ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের পুজি পায় চিটাগং।
ঢাকার হয়ে বল হাতে এদিন মাত্র ১৫ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন নারিন। এছাড়া রুবলে ও কাজী অনিক নেন ১টি করে উইকেট।