সাকিবের যে ক্রিকেট মস্তিস্ক খুবই ক্ষুরধার তা কে না জানে। তার অতীত রেকর্ডের দিকে একটু নজর দিলেই তা আমরা দেখতে পারি। তাই তামিম ইকবাল বিশ্বাস করেন সাকিব যে নতুন ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হচ্ছেন তাতে সফল হবেন তিনি। আর তামিমের রোমাঞ্চিত হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুজনের রানের প্রতিযোগিতা।
এই ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই তিনে ব্যাট করছেন সাকিব। আর শুরু থেকেই ভালো পারফর্মও করছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩৭, দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭ আর আজ করেছেন ৫১। আবার তিন ম্যাচেই তামিমের সাথে ভালো পার্টনারশীপ গড়েছেন সাকিব।
আবার সাকিবের ব্যাটিংয়ের ধরণেও দেখা যাচ্ছে পরিবর্তন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা সাকিবকে অনেকটাই রক্ষণাত্মক খেলতে দেখা যাচ্ছে। আর সাকিবের এই পাল্টে যাওয়াটাই চোখে পড়েছে তামিমেরও। তার মতে তিনে সফল হবেন সাকিব।
“সাকিব যখন চার বা পাঁচে আসত, অনেক সময় এমন হতো যে বাংলাদেশের ৪০ রানে ৩ উইকেট নেই। এমনও ছিল যে ৩ উইকেটে ২০০। কিন্তু যখন তিনে ব্যাট করবে, তখন সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ইনিংসে দ্বিতীয় বলেই খেলতে হতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে ২৫ ওভার পর নামছে।” বলেন তামিম।
“আমার কাছে মনে হয় সে খুব স্মার্ট ক্রিকেটার। সে এই পজিশনে এখনি পারফেক্ট কিনা, এটা এখনই বলা তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আমি যেটা বলতে পারি, সে সামর্থ্য রাখে। সে জানে কী করতে হবে।” যোগ করেন তামিম ইকবাল।
সাকিবের তিন নাম্বারে ব্যাট করতে নামায় তার জন্য বোরো ইনিংস খেলা এখন অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটাই সহজ এবং তামিমের সাথে রান নিয়ে যে একটি লড়াই চলে সেটাও আরো ভালো ভাবে হবে। আগের ম্যাচের পর সাকিব বলেছিলেন, এই প্রতিযোগিতা দলের জন্যই ভালো। এখন একই কথা শোনা গেলো তামিমের কণ্ঠেও।
“ভালো হবে যদি প্রতিযোগিতা জমে। আমার কাছে মনে হয় যে দলের মধ্যে যদি সুস্থ্য প্রতিযোগিতা থাকে, এটা সব সময়ই ভাল। সাকিব তিনে ব্যাট করায় অনেক বেশি ওভার ব্যাট করতে পারবে। এইজন্য আমাকেও মনে রাখতে হবে যে আমাকে পারফর্ম করতে হবে ওপরে থাকতে হলে।”
“কেবল সাকিব না, মুশফিকও আছে। সেও অনেক রান করে ফেলেছে। ২০১৭ সালে দারুণ বছর গেছে ওর। স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকলে দলের জন্য ভাল। রুবেল যেমন ১০০ উইকেট পেয়েছে, এখন ২০০ উইকেটের জন্য খেলবে। সাত বছরে ১০০ হয়েছে। এখন ওর টার্গেট থাকা উচিত তিন-চার বছরে আরও ১০০ নিতে।”