ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অজিদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় করতে পারেননি কোন ভারত অধিনায়কই। এর মধ্যে আছে লালা অমরনাথ, বিষেণ বেদি, সুনীল গাভাস্কর, সৌরভ গাঙ্গুলী থেকে অনিল কুম্বলেদের মতো তারকা অধিনায়কদের নাম। কোনো ভাবেই যেনো এই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছিল না ভারতের। তবে সবাইকে ছাপিয়ে সেই প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে ব্র্যাডম্যানের দেশে ‘বিরাট’ ইতিহাস রচনা করলেন ভারতিও অধিনায়ক কোহলি।
অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নে জয় তুলে ভারত আগেই বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফির দখল নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিল৷ সিডনিতে না হারলেই ইতিহাস গড়া নিশ্চত ছিল কোহলিদের৷ সিডনিতে আজ শেষ টেস্ট ড্র ঘোষণা হতেই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো বিরাট অ্যান্ড কোম্পানি।
এর আগে কোনও ভারতীয় দলই অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে সিরিজ জিতে ফিরতে পারেনি৷ ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে এই নিয়ে মোট ১২ বার অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজ খেলছে ভারত৷ ১৯৮০-৮১, ১৯৮৫-৮৬ ও ২০০৩-০৪ সালের তিনটি অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে৷ বাকি আটটি সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া৷ এবার নির্বাসনের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলে স্মিথ-ওয়ার্নারের মতো তারকা না থাকায় চার ম্যাচের সিরিজে ভারতই ছিল ফেভারিট৷ নিজেদের সুনামের প্রতি সুবিচার করে কোহলিরা শেষমেশ ডনের দেশে নতুন নজিড় গড়ল৷
এমন ইতিহাসের অংশ হতে পেরে সাংবাদ সম্মেলনে বিরাট বলেন, ‘ভারতীয় দলের সদস্য হিসেবে এমন গর্ব আগে অনুভব করিনি। দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময়ই লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছিলাম। এরপর গত একবছর আমরা যা পরিশ্রম করেছি, আজকের সিরিজ জয় তার ফল। এককথায় এমন প্রতিভাদের নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি গর্বিত।’
ব্র্যাডম্যানের দেশে সিরিজ জয়কে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সেরা সাফল্য হিসেবে অভিহিত করে কোহলি জানান, ‘এমন মুহূর্ত ছেলেরা ডিজার্ভ করে।’ ২০১১ বিশ্বকাপ জয়কে এই সিরিজ জয়ের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে কোহলি বলেন, ‘যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম তখন আমি দলের একজন তরুণ ক্রিকেটার ছিলাম। কিন্তু এই সিরিজ জয় দল হিসেবে আমাদের একটা আলাদা পরিচিতি দেবে। বিদেশের মাটিতে এমনই একটা সাফল্য আমরা চেয়েছিলাম।’