নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশের মিডল-অর্ডার মারকুটে ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ১০২ রানের দর্শনীয় ইনিংস খেলেন তিনি। মাশরাফির আগ্রহেই নিষেধাজ্ঞা পেরুনোর এক মাস আগেই দলে ফেরেন সাব্বির। সাব্বিরের সেঞ্চুরিতে মাশরাফিরই তাই সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা। সেটি অবশ্যই হয়েছেন। কিন্তু উদ্যাপন করতে গিয়ে সাব্বিবের পাল্টা জবাব দেওয়াটা তাঁর একদমই পছন্দ হয়নি।
সিরিজের শেষ ম্যাচে ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামেন সাব্বির। ৪০ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর উইকেটে যান তিনি। দ্রুত উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের আয়ত্বে নিয়ে নেন সাব্বির। ইনিংসের ৪৬তম ওভারের চতুর্থ বলটি স্কয়ার লেগে বল ঠেলে দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাব্বির। ৫৭তম ওয়ানডেতে এসে তিন অংকে পা দিলেন সাব্বির। শেষ পর্যন্ত ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১০ বলে ১০২ রান করেন সাব্বির।
তবে সাব্বির অভিষেক সেঞ্চুরির ম্যাচে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচে প্রাপ্তি বলতে সাব্বিরের সেঞ্চুরিটা। তাই এটি নিয়েই বেশি আলোচনা হওয়ার কথা। তবে আলোচনা নয় কিছুটা সমালোচনাই হলো সাব্বিরের সেঞ্চুরি উদযাপন নিয়ে। এক হাতে ব্যাট আর আরেক হাতে বকবক করার ভঙ্গি দেখিয়ে সাব্বির কী বলতে চেয়েছেন, সেটি বুঝতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সেটির অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন অর্থও করা যায়। একটি অর্থ হতে পারে, ‘আমি যা বলবার তা ব্যাট দিয়েই বলব।’ অথবা—‘অনেক তো বকবক করেছ, দেখো ব্যাট দিয়েই তার কেমন জবাব দিলাম।’
সাব্বিরের এমন উৎযাপন দৃষ্টিকটু লেগেছে মাশরাফির। তাই তে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর সাব্বিরকে এমন উদযাপন নিয়ে মাশরাফি প্রশ্ন করলে সাব্বির জানান, ‘ আমি বলতে চেষ্টা করেছি, আমার ব্যাট অনেক দিন পর কথা বলেছে।’
সাব্বিরের কথার প্রেক্ষিতে ম্যাশ বলেন, ‘ভবিষ্যতে ওকে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে।’ ‘আমি আশা করি, ও যা করেছে, তা এই সিরিজেই থেমে থাকবে না। সামনে আমাদের অনেক খেলা। ও এমন আরও অনেক পারফরম্যান্স করবে।’
মাশরাফির বলার ভঙ্গিতে বুঝতে সমস্যা হলো না, সাব্বিরের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স তিনি আরও অনেক দেখতে চান, তবে এমন ‘কাউকে দেখিয়ে দেওয়া’ বা ‘জবার দেওয়া’র উদ্যাপন আর একবারও নয়।