সোমবার আইপিএলে মোহালিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ বলে ৬ উইকেটে হাতে রেখে জয় তুলে নেয় প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব।
এই ম্যাচের শেষ ওভারে হায়দরাবাদের হয়ে ম্যাচ বাঁচানোর দায়িত্ব এসেছিল মোহাম্মদ নবীর কাঁধে। শেষ ওভারে পাঞ্জাবের ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। তবে পাঞ্জাব ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং নৈপুন্যে ১ বল বাকি থাকতে জয় পেয়ে যায় তারা।
এর আগের আসরে হায়দরাবাদ নিজেদের প্রথম ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে হায়দরাবাদ একই রকম পরিস্থিতিতে ছিল। এ সময় সাকিব বোলিংয়ে আসলেও দলের হয়ে ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি।
সোমবার রাতের ম্যাচে জয়ের ফলে এখন পয়েন্ট টেবিলে আইপিএলের থার্ডবয় পাঞ্জাব। শেষ চার ম্যাচে তিনটিতে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে শেষ দু’টি ম্যাচে হারতে হয়েছে হায়দরাবাদকে। আসরে ছয় ম্যাচে তাদের পরাজয় তিনটিতে।
টসে হেরে পাঞ্জাবের সামনে এ দিন ১৫১ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় হায়দরাবাদ। শুরু থেকেই একটু নড়বড়ে দেখাচ্ছিল হায়দরাবাদকে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬২ বল খেলে ওয়ার্নার করেছেন ৭০ রান। এই ৭০ রানের ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার এবং ১টি ছক্কা। তবে অপরাজিত ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এ ছাড়া হায়দরাবাদের হয়ে বেশি রান করেছেন বিজয় শঙ্কর। এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে উঠে এসেছে ২৬ রান। পাঞ্জাবের হয়ে মুজিব উর রহমান, মহম্মদ সামি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। হায়দরাবাদের মহম্মদ নবিকে রান আউট করেন অশ্বিন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে ক্রিস গেইলের (১৬ রান) উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে লোকেশ রাহুল ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল জুটি খেলা সামলে নেন। ময়াঙ্ক ৫৫ রানে ফিরে গেলেও রাহুল শেষ অবধি ৭১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন। তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটি চার ও একটি ছক্কা। রান তাড়া করতে নেমে রাহুলকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন মায়াঙ্ক অগ্রবাল। ৪৩ বলে তিনি করলেন ৫৫ রান।
হায়দরাবাদের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ২৫ রান দেন তবে উইকেট পাননি। সন্দীপ শর্মা ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রশিদ খান ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। তবে ছোট লক্ষ্য হওয়ায় সহজেই তা অতিক্রম করে যায় পাঞ্জাব। এদিন ৩.৫ ওভার বল করে ৪২ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন নবী।