কিছুদিন আগেই পেপ গার্দিওলা বলেছেন, একজন খেলোয়াড়ের জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা সিটির পক্ষে অসম্ভব। সেই প্রেক্ষিতে আয়মেরিক লাপোর্তেকে কিনতে তাঁর ৬৫ মিলিয়ন ইউরো গুনতে হয়েছে। আবার এই কথা রাখতে গিয়ে আরেকটি ঘটনা রটে গেছে তা হলো, গত ছয় মাসে রক্ষণ সুদৃঢ় করতে সিটির যে খরচ হয়েছে, তা ৫৪টি দেশের সামরিক বাজেটেরও বেশি।
গার্দিওলা অনেক আগে থেকেই লাপোর্তের উপর লক্ষ্য রেখেছিলেন। তাই এই ফরাসি ডিফেন্ডারকে একেবারে রিলিজ ক্লোজ দিয়েই দলে পাকাপোক্ত ভাবেই এনেছেন। ৫৭.২ মিলিয়ন পাউন্ডের এই চুক্তিতে ফলে সিটির আগের দলবদলের রেকর্ড (কেভিন ডি ব্রুইনের ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড) ভেঙে গেছে। এরই মধ্যে বর্তমান সময়ে নিজেদের খরচের তালিকাটাকেও ১৩১ মিলিয়ন ইউরোতে নিয়ে গেছে প্রিমিয়াম লীগ এর শীর্ষে থাকা দলটি।
এদিকে গার্দিওলা লাপোর্তেকে দলে টেনে এনেছেন ঠিকই কিন্তু সেই সাথে সিটির ডিফেন্সের পিছনে খরচ দাঁড়িয়েছে ৩০৮ মিলিয়ন ডলার। যা কিনা ৪৯টি দেশের সামরিক বাজেটের চেয়ে বেশি!
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট (সিপ্রি) – এর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের অন্তত ৫৪টি দেশ প্রতিরক্ষা খাতে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে কম খরচ করেছে!
সার্কভুক্ত নেপাল একটুর জন্য ছাপিয়ে গেছে সিটিকে (৩১৯ মিলিয়ন ডলার)। তবে ২০১৬ সালে সামরিক খাতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা জাম্বিয়া সেটা পারেনি। আফগানিস্তান (১৭৪ মিলিয়ন), কিউবা (১১৮.৪ মিলিয়ন) কিংবা আইসল্যান্ডের (১৭.৪ মিলিয়ন) মতো আরও ৫০টি দেশ সিটির চেয়ে রক্ষণে কম ব্যয় করেছে। তবে প্রতিরক্ষার পেছনে সবচেয়ে কম খরচে এগিয়ে কেপ ভার্দে। মাত্র ১০.২ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে এ রাষ্ট্রটি।
তবে সিপ্রির ভাষ্যমতে, ২০১৬ সালে প্রতিরক্ষায় ৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বাংলাদেশ। গার্দিওলার পক্ষে অন্তত বাংলাদেশকে ছোঁয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র (৬১১ বিলিয়ন) কিংবা চীনের (২১৫ বিলিয়ন) কথা তো ভাবনাতেই আনা সম্ভব নয়!