প্রথম তিন ম্যাচে জয়ের হ্যাটট্রিকের পর চতুর্থ ওয়ানডেতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হলো ভারতীয় দল। ধোনি-কোহলিহীন দল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। বৃহস্পতিবার সেডন পার্কে ৯২ রানেই গুটিয়ে গেল ভারত৷ ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২১ রান খরচ করে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন বোল্ট৷ ম্যাচ জিততে ৯৩ রান প্রয়োজন নিউজিল্যান্ডের।
সিরিজ জয় নিশ্চিতের পর বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে শেষ দুই ওয়ানডে পরীক্ষা-নিরীক্ষার চালায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।তাই ভারতীয় দলে আনে দু’টি পরিবর্তন৷ বিরাটের অনুপস্থিতিতে টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে এদিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামে গিল৷ ধোনি যান বিশ্রামে আর মোহম্মদ শামির পরিবর্তে দলে আসেন খলিল আহমেদ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাঁর ২০০ তম একদিনের ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না। মাত্র ৭ রানে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। তবে ভারতীয় শিবিরে প্রথম আঘাতটা আসে শিখর ধাওয়ান(১৩) আউট হতেই। তিন নম্বরে নেমে অভিষেক ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না শুভমান গিল। ৯ রানে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। আম্বাতি রায়ডু আর দীনেশ কার্তিক রানের খাতাই খুলতে পারেননি । ১ রানে ফিরলেন কেদার যাদব আর ভুবনেশ্বর কুমার। ছ’টি উইকেটের মধ্যে চারটিই তুলে নেন বোল্ট৷ দু’টি নেন কলিন গ্র্যান্ডহোম৷
এক সময় ৪০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বনিম্ন স্কোরে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা গ্রাস করে ভারতীয় শিবিরকে। সেখান থেকে সাত নম্বরে নামা হার্দিক পান্ডিয়ার ১৬ রান দলকে পার করে দেন সর্বনিম্ন ৫৪ রানের খাঁড়া।
১৬ রানে আউট হলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষ দিকে কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহল একটু চেষ্টা করেন। এরপর নবম উইকেটে কুল-চাহালের জুটির ২৫ রান এবং শেষে খলিল আহমেদকে নিয়ে চাহালের ১২ রানের পার্টনারশিপ কিউয়িদের মাটিতে সর্বনিম্ন ৮৮ রানের গন্ডি টপকাতে সাহায্য করে ভারতকে। ৩০.৫ ওভারেই ৯২ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। ১৮ রানে অপরাজিত থাকলেন চাহল। তিনিই এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন।
২১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। একদিনের ক্রিকেটে রিচার্ড হ্যাডলির রেকর্ডকে এদিনই ছুঁয়ে ফেললেন বোল্ট। ২৬ রানে তিন উইকেট নিলেন ডিগ্র্যান্ডহোম।