টেস্টে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিং নিয়ে চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা। গত ডিসেম্বরে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলা সাকিব এই তালিকায় রয়েছেন তিন নম্বর অবস্থানে। যথাক্রমে প্রথম দুই স্থানে থাকা জেসন হোল্ডার ও স্টোকস তাদের ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স দিয়ে সাকিবকে হঠিয়ে সেই স্থান দখল করে নিয়েছেন।
র্যা ঙ্কিংয়ে একক শ্রেষ্ঠত্ব না থাকলেও পারফরম্যান্স, ধারাবাহিকতা ও দলে ভালো-মন্দে প্রভাব মিলিয়ে এখনও অনেকের মতেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবই। তবে র্যা ঙ্কিং দিয়েই তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিষ্ঠা শুরু, তাই এটির আলাদ গুরুত্ব তো আছেই।বিশেষ করে টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যা ঙ্কিংয়ের ওজনই যেখানে সবচেয়ে বেশি।
লম্বা সময় ধরে তিন ফরম্যাটে অলরাউন্ডার র্যা ঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছিলেন সাকিব। তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শেষ্ঠত্ব হারিয়েছেন। যদি পারফরমেন্স নয় ইনজুরি কারণে র্যা ঙ্কিংয়ে তার এই নিন্ম মুখিতা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের পর ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ।
তাই সুযোগ রয়েছে এই দুই ফরম্যাটেই আবার নিজের শেষ্ঠত্ব ফিরে পাওয়ার।
তবে র্যা ঙ্কিং নিয়ে নয় সাকিবের কাছে সবচেয়ে বেশি ওজন দলে অবদান রাখতে পারায়।আজ (বুধবার) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলেন এমটাই জানালে তিনি।
তিনি বলেন, ‘র্যাং কিং নিয়ে আসলে আলাদা ভাবার কিছু নেই। সবসময় মাথায় একটা জিনিসই কাজ করে যে দলের জয়ের পেছনে কতটা অবদান রাখতে পারি। সেটি যদি বেশি রাখতে পারি, স্বাভাবিকভাবেই র্যাং কিং তার জায়গাটা আপনা আপনি করে নেবে। এ কারণেই আমার র্যাং কিং নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সবসময় চেষ্টা থাকে দলের প্রয়োজনে ভালো কিছু করার। সেটা কম হোক বা বেশি, সেটি আমার কাছে গুরুত্ব পায় না। সেটা করতে গিয়ে যদি র্যাং কিংয়ে ভালো কিছু হয়, আমি অবশ্যই সেটি নেব।’