টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১১৮ রানেই থামিয়ে সহজ জয়ের সম্ভাবনা দেখছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ১১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেই ঘাম ছুটে যায় অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের দলের। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে গিয়ে জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে তারা।
আবুধাবিতে ১১৯ রানের ছোট্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারছিলনা অস্ট্রেলিয়া। ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রানে প্রোটিয়াদের ইনিংস শেষ হলে, ব্যাটিংয়ে নেমেই পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে অজিরা। আস্থার অনেক উপরে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৪ রান করেই কাগিসো রাবাদার শিকারে পরিণত হন।
ওয়ার্নারের আগে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বিদায় নেন শূন্য রানে। প্রথম ওভারেই আনরিখ নর্টিয়ের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি । দলীয় ৩৮ রানের মাথায় মিচেল মার্শ (১১) আউট হয়ে গেলে বিপদেই পড়ে অজিরা।
৩ উইকেট হারানোর চাপ সামালে ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা হয় মাত্র ৫১ রান। সে সময় স্টিভেন স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দলকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু ১৫তম ওভারে আবারো আনরিখ নর্টিয়ের আবারো অজি শিবিরে তান্ডব চালায়। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েল আউট হলে বড় ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ১৫তম ওভারে নর্টিয়ে ৩৫ রানে স্মিথকে এবং ১৬ তম ওভারে তাবরাইজ শামসি ১৮ রান করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করেন।
এরপর মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড দাঁত কামড়ে ক্রিজে পড়ে থেকে ২৬ বলে ৪০ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রান। চতুর্থ বলে স্টয়নিসের বাউন্ডারিতে আসে জয়সূচক রান।
১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আনরিখ নর্টিয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।
এর আগে আইডেন মার্করামের ইনিংস সেরা ৪০ রান প্রোটিয়াদের দলগত স্কোর গড়তে অবদান রাখে। অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজেলউড ৪ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।