অদ্ভুত অ্যাকশনে ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারতেন তিনি। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বসেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নও বলেছিলেন ভবিষ্যতে এক ভালো পেসার পেয়ে গেছে ভারত।
২০০৯ সালে শেন ওয়ার্নের নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলা কামরান খান হঠাৎ করেই ক্রিকেট থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। রাজস্থানের টিম ডিরেক্টর ড্যারেন বেরি স্কাউট ক্যাম্প থেকে সে বছর কামরানকে আবিষ্কার করেছিলেন। ২০০৯-১০ এই দুই বছর রাজস্থানের হয়ে খেলার পর কামরান পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ২০১১ সালে। পুনের হয়ে খেলা অবস্থাতেই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আইপিএলের দুই আম্পায়ার গ্যারি বাক্সটার ও রুডি কোর্ৎজেন।
প্রথমে তার বোলিংয়ের ভিডিও ফুটেজ রিভিউ করা হয়। তারপর হয় বৈঠক। এরপরই প্রতিভাবান এই পেসার দল থেকে বাদ পড়েন। সেই বাদ পড়াই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায় ইন্ডিয়ার এই ভবিষ্যৎ হবু পেসারের। কিছুদিন স্থানীয় ক্লাবে খেলার সুযোগ পেলেও সেখানেও আর সুবিধা করে উঠতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ভাইয়ের সাথে কৃষিকাজেই ফিরে যান আবার। এখন এটাই তার প্রধান পরিচয় যে তিনি একজন কৃষক।
কামরান জানান, আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টের খেলোয়াড় থেকে কৃষক হয়ে যাওয়ায় অনেকেই তাকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করে। কিন্তু তিনি আর ওসব পাত্তা দেননা। ক্ষেতের কাজের পাশাপাশি সকাল সন্ধ্যা ক্রিকেট প্র্যাকটিস করেন। খুব একটা কারও সাথে নাকি মেশেনও না একসময় আইপিএলের সাড়া জাগানো এই পেসার।