বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫৪১ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে সাবেক পাকিস্তানী ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির থলিতে আছে ৫৪১ টি আন্তর্জাতিক উইকেট। সেই হিসেবে সাকিব আর ১ টি উইকেট পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন পাকিস্তানী এই লিজেন্ডকে।
তবে একটি ব্যাপারে সাকিব এগিয়ে আছেন। দুজনে সমান সংখ্যক উইকেট শিকার করলেও আফ্রিদির তুলনায় সাকিবের ম্যাচ খেলার পরিমান অনেক কম।
পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি শহীদ আফ্রিদি ৫২৪ টি আন্তর্জার্তিক ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছেন ৫৪১টি। আর সাকিব আল হাসান মাত্র ৩২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেই ছুঁয়ে ফেলেছেন আফ্রিদিকে। অর্থাৎ আফ্রিদির থেকে ২০০ ম্যাচ কম খেলে সাকিব এই কীর্তি অর্জন করেন।
এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটেও সাকিব আরেকটি অনন্য রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে। সাকিবের ওয়ানডেতে উইকেট শিকারের সংখ্যা এই মুহূর্তে ২৪৮ টি এবং ওয়ানডেতে তিনি রান করেছেন ৫৬৩৮! খুব শীঘ্রই ২৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁতে যাওয়া সাকিব এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৯৬ ম্যাচ। ২৫০ উইকেট এবং ৫ হাজার রান করা ক্রিকেটারদের লিস্টে আছেন মাত্র ৪ জন, যারা প্রত্যেকেই সাকিবের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছেন।
৩৯৮ ম্যাচ খেলে ৮০৬৪ রান এবং ৩৯৫ উইকেট শহীদ আফ্রিদির, ৪৪৫ ম্যাচ খেলে ১৩৪৩০ রান এবং ৩২৩ উইকেট সনাথ জয়সুরিয়ার, ৩২৮ ম্যাচ খেলে ১১৫৭৯ রান এবং ২৭৩ উইকেট জ্যাক ক্যালিসের, ২৬৫ ম্যাচ খেলে ৫০৮০ রান এবং ২৬৯ উইকেট আব্দুর রাজ্জাকের।
আর বছর তিনেক ক্রিকেট খেললেই সাকিবের আফ্রিদির ৮ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসাথে ক্যালিস, রাজ্জাক, জয়সুরিয়ার উইকেটের সংখ্যাও ক্রস করবে আশা করা যায়। ব্যাটিং বোলিং মিলিয়ে সাকিবের সামনে তখন থাকবেনা হয়তো কেউই।