ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো সিরিজ না থাকার গুঞ্জন বেশ আগে থেকেই ছিল। তবে নতুন খবর হচ্ছে, যদি আন্তর্জাতিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কমে যায়, তাহলে এক বছরে দুইটি আইপিএল আয়োজনও সম্ভব।
সম্প্রতি সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এক কথায় বলা যেতে পারে যে, বিশ্বজুড়ে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রাজত্ব। যেখানে ক্রিকেটাররা অল্প কয়েক দিন খেলেই উপার্জন করতে পারছে বেশি অর্থ। আর সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগগুলোর শীর্ষেও রয়েছে আইপিএল।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডকে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জেতালেন জনি বেয়ারস্টো
এদিকে আইপিএলসহ বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগগুলোর এমন রমরমা অবস্থায় নিজেদের জায়গা হারাতে চলেছে এক দিনের আন্তর্জাতিক (ওয়ানডে) ক্রিকেট। একই সঙ্গে পাকিস্তান কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামসহ আরও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন টি-টোয়েন্টির যুগে ওয়ানডের যৌক্তিকতা নিয়ে।
এদিকে ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রীর মতে, বছরে যদি দুটি আইপিএল হয় তবে পরের আইপিএলটি বিশ্বকাপের জনপ্রিয়তাও পেয়ে যেতে পারে! মৌসুমের প্রথম আইপিএলটি একটু বড় করে করার কথা বললেও পরের আইপিএলটিকে শাস্ত্রী চান নকআউট ফরম্যাটে।
আরও পড়ুন: ভারতকে টপকে চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় শ্রীলঙ্কা
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে জায়গা করে নিয়েছে আড়াই মাসের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ২০১৪-২১ পর্যন্ত আইপিএল হয়েছে ৮টি দল নিয়ে। প্রতি মৌসুমে মাঠে গড়াত ৬০টি ম্যাচ। এবার থেকে আইপিএলে দলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০, ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪।
২০২৩ ও ২০২৪ সালে আইপিএলে ম্যাচের সংখ্যা না বাড়লেও ২০২৫ ও ২০২৬ সালে ৮৪টি ম্যাচ হবে বলে মিডিয়া স্বত্বের নিলামের সময় ঘোষণা করে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। এমনকি বিসিসিআই আরও জানায়, ২০২৭ সালে আইপিএলে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে সর্বাধিক ৯৪ হবে।
বিডি স্পোর্টস নিউজ/জেএ