রবিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি তারা। দলের এমন ভাঙা চোড়া অবস্থায় অন্তবর্তীকালীন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ম্যাচ হারের পর শ্রীলঙ্কার স্থানীয় একটি ক্যাসিনোতে( জুয়ার আসর) গিয়েছিলেন। যা দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
গোপনে ধারণ করা ১১ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, কলম্বোর জনপ্রিয় একটি জুয়ার আসর ‘বেলিস ক্যাসিনো’তে খালেদ মাহমুদ সুজন একজন নারী ওয়েটারের হাত থেকে ব্যাংকের এটিএম অথবা ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করছেন। এরপর তিনি এগিয়ে যান একটি জুয়ার টেবিলের দিকে। যাতে আরও বেশ কয়েকজন মানুষকে দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভিডিওটি এর মধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে বয়ে যাচ্ছে নিন্দার ঝড়। সুজনের ব্যক্তিত্ব ও দায়িত্ববোধ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ক্যাসিনোতে যাওয়ার প্রসঙ্গে সুজন নিজের ব্যাখায় বলেন, ‘আমার এক বন্ধুকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। ক্ষুধা পেয়েছিল বলে সেখানে যাই খাওয়ার জন্য। ক্যাসিনোতে শুধু কার্ড খেলা হয় না, খাবারও পাওয়া যায়। সে কারণেই ওখানে যাই।’
তিনি আরো বলেন, আমি জানি, আমি কেন সেখানে গিয়েছিলাম। কার্ড খেলার তো প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিরিজ চলছে; কোচ হিসেবে আমার সমস্ত মনোযোগ সেখানে। ক্যাসিনোতে এক বাঙালি ছিলেন। তিনি আমার কাছে কার্ড চাইলে তাকে কার্ডও দিই। ব্যস, এইটুকুই। এখন এ নিয়ে যদি ফেসবুকের মতো জায়গায় আলোচনা-সমালোচনা হয়, সেখানে আমার কিছু করার নেই।’
তবে বাংলাদেশ দলের সিরিজ চলাকালীন সময়ে ক্যাসিনোতে সুজনের যাওয়া এবারই প্রথম নয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি। জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে ওই বিশ্বকাপে গিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাসিনোতে ক্যামেরাবন্দী হন। সে সময়ও ভিডিও ভাইরাল হলে সুজন জানিয়েছিলেন, রাতের খাবার খুঁজতে ক্যাসিনোতে গিয়েছিলেন।