5.7 C
New York
Friday, April 26, 2024

Buy now

দুই দফা বাড়িয়ে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছে ক্রিকেটাররা

আজ সারাদিনই পৃথক পৃথক ভাবে নানা তৎপরতা দেখা দিয়েছে বিসিবি এবং ক্রিকেটারদের মাঝে। দিনের শুরু থেকেই মনে হয়েছে বিসিবির সাথে সমঝোতায় যেতে যাচ্ছে ক্রিকেটাররা। তবে সন্ধ্যায় গুলশানে বৈঠকে বসে ক্রিকেটাররা। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে মুখপাত্র বানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা।

ব্যারিস্টার মোস্তাফিজ কোনো আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য ক্রিকেটারদের সাহায্য করছেননা বরং ক্রিকেটারদের বক্তব্য তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে। তিনি আগের ১১ দফা দাবির সঙ্গে আরও দুটি দাবি যোগ করে বিকেল ৪টায় চিঠি পাঠান বিসিবির কাছে। ডাক বিভাগ, কুরিয়ার এবং ই-মেইলের মাধ্যামে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

যে ১৩টি দাবি বিসিবির কাছে পাঠানো হয়েছে, সেই দাবিগুলোই ব্যারিস্টার মোস্তাফিজ তুলে ধরেন একে একে…।

১. কোয়াব- বর্তমান কমিটির সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। তারা বোর্ডের অন্যান্য পদে আসীন আছেন, তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। স্বার্থের দ্বন্দ্ব। ব্যক্তিগত দুর্বলতা নয়, অবস্থানের জন্য। প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠন করতে হবে। প্রতিবছর ইলেকশন হবে। ক্রিকেটের যে বিকাশ, এ পর্যায়ে সঙ্গত। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডে ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। ১৯৯১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়। পেশাদার ক্রিকেটারদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করা।

২. ঢাকা ক্রিকেট লিগ, প্রিমিয়ার লিগ অন্যানয় লিগগুলোর অর্গানাইজেশন আগে যেমন ছিল, সে অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে। বর্তমানে ড্রাফট সিস্টেম আছে। পেমেন্টটা ক্রিকেটারদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ক্লাব পছন্দের স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু এখন নেই। ক্রিকেটাররা মনে করে পুরনো ব্যবস্থা ফিরে আসা উচিৎ।

৩. আগামী মৌসুমে বিপিএল আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। ফ্রাঞ্চাইজি সিস্টেমে ফিরে আসবে। যাতে করে আবারও ক্রিকেটাররা বাজারের যে মূল্য, সে মূল্য তারা পায়। বিপিএলে আরেকটা দাবি হচ্ছে, বৈষম্য করা হয়। দেশিদের একরকম, বিদেশিদের আরেকরকম। প্লেয়ারদের দাবি এই বৈষম্য বন্ধ করতে হবে।

৪. প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পারিশ্রমিক ১ লাখ টাকা করতে হবে। খেলোয়াড়দের রিউম্যুনিরেশন প্রতি বছর বাড়াতে হবে। সারা বছর কোচ, ফিজিও এবং ট্রেনার থাকতে হবে। নিয়মিত যেন ক্রিকেটারদের প্র্যাকটিসে থাকতে পারে।

৫. ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো মানের বল দিতে হবে। ডিএ ১৫০০ টাকায় কিছু হয় না, তাই বাড়াতে হবে। ট্রাভেলে বিমানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভালো মানের হোটেল হতে হবে।

৬. সেন্ট্রালি চুক্তিতে অন্তত ৩০ জন করতে হবে, পারিশ্রমিক বাড়াতে হবে। কারণ খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তা প্রয়োজন।

৭. লোকাল কোচ, স্টাফ, গ্রাউন্ডসম্যানদের পারিশ্রমিক বাড়াতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড করতে হবে। গত এক মাসে ১৬জন গ্রাউন্ডস ম্যান রিটায়ার্ড করেছে। ভেট্টোরির জন্য দৈনিক ৩৫০০ ডলার (ভ্যাটসহ)। অথচ দেশি কোচ-স্টাফদের বেতন খুবই নগন্য। বিদেশি কোচদের সঙ্গে দেশি কোচদেরও পারিশ্রমিকের সামঞ্জস্য করতে হবে।

৮. ঘরোয়া ওয়ানডে বাড়াতে হবে। ম্যাচের সংখ্যা এবং টুর্নামেন্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আরও একটি ঘরোয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাড়াতে হবে।

৯. একটি বর্ষপঞ্জিকা প্রনয়ণ করতে হবে। সারা বছরের সূচি তৈরি করে রাখতে হবে। তাহলে সবার জন্যই পুরো বছরের পরিকল্পনা করে রাখা যাবে।

১০. খেলোয়াড়দের পাওনা সময়মত পরিশোধ করতে হবে। বিপিএল এবং অন্যান্য ক্লাবের ক্ষেত্রে করতে হবে।

১১. ফ্রাঞ্চাইজি লিগ দুটির বেশি খেলা যাবে না- এই নিয়ম তুলে দিতে হবে। প্রতি ক্রিকেটার স্বাধীনভাবে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে দিতে হবে। যে সুযোগ পাবে সে খেলবে। শুধু জাতীয় দলের সূচি থাকবে শর্তের মধ্যে।

১২. ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা চাই। ক্রিকেটে যে রাজস্ব আয় হচ্ছে তার একটা অংশ ক্রিকেটারদেরকে দিতে হবে। ক্রিকেটারদের জন্যই হচ্ছে। সুতরাং, ক্রিকেটারদেরকেও এর অংশীদার করতে হবে।

১৩. বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল ভালো পারফর্ম করছে। তাদের ক্ষেত্রেও ন্যায্য হিসাব দিতে হবে। নারীদের ক্ষেত্রেও একইভাবে শর্তগুলো অনুসরণ করতে হবে। লিঙ্গ বৈষম্য দুর করতে হবে। সমান সম্মান দাবি করে।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,913FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles