ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালে ব্রিসবেনে অ্যাশেজ টেস্ট শুরুর সময়। তখন তাসমানিয়া ক্রিকেটের এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে মুঠোফোনে বেশ কিছু মেসেজ চালাচালি করেন তিনি। হঠাৎই নিজের পুরুষাঙ্গের ছবিসহ যৌন উস্কানিমূলক মেসেজও দেন সেই নারী সহকর্মীকে।
সাত মাস পর ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে তাসমানিয়া ক্রিকেট ওই নারীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলে। তারপরই পেইনের ওই আপত্তিকর মেসেজের বিষয়ে রিপোর্ট করেন তিনি। ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ না করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও তাসমানিয়া ক্রিকেট তদন্তে নেমে পড়ে, যেখানে তারা এটা বলে শেষ করে, ‘কোনো আচরণবিধি লংঘন করেননি পেইন।’
কিন্তু শুক্রবার হঠাৎই ওই মেসেজগুলো প্রকাশ্যে আসে। তারপরই পেইন অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন এবং সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসিক্ত হয়ে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান।
এতদিন পর সেক্সটিং স্ক্যান্ডাল প্রকাশ্যে আসার পর অনুতপ্ত হয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিলেন পেইন। একইসঙ্গে ৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের সঙ্গীর কাছে ক্ষমা চাইলেন দুই সন্তানের বাবা।
পেইন জানান, ওই ঘটনার পর পর স্ত্রী তাকে ক্ষমা করে দেন এবং পাশে ছিলেন। তারপরও যখন বিষয়টি প্রকাশ্যে এলো, আবারো ক্ষমা চাইলেন তিনি, ‘আমার স্ত্রী, পরিবার ও অন্যদের মনে যে আঘাত আমি দিয়েছি তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত, আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমাদের খেলার সুনাম নষ্ট করায় আমি দুঃখিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি অবিলম্বে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো আমার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। আমি একটি চমৎকার, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটি পরিবার পেয়েছি যারা আমাকে সবসময় সমর্থন দিয়েছে এবং আমি তাদের কতটা হতাশ করেছি তা আমার হৃদয় ভেঙে দেয়। তারা সবসময় আমার পাশে ছিল, তারাই আমার সবচেয়ে অনুগত ভক্ত এবং তাদের সমর্থনের জন্য আমি তাদের কাছে চিরঋণী।’