বিশ্বকাপ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক জয়ে স্বাদ নেওয়া হলো না বাংলাদেশের। প্রথম ব্যাট করে ইংল্যান্ডের দেওয়া বিশ্বকাপ আসরের সপ্তম সর্বোচ্চ দলীয় ৩৮৬ রানের জবাবে ২৮০ রানে অলআউট হলো বাংলাদেশ। ১০৬ রানের বিশাল জয় পেলো স্বাগতিকরা।
এদিন ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৮৭ রান তাড়া করতে নেমে আশানুরূপ উদ্ধোধনী জুটি গড়তে পারেননি তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। মাত্র ২ রানে নিয়ে সৌম্য ফেরেন আর্চারের বলে। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম সঙ্গ পান সাকিব আল হাসানের। দলীয় ৬৩ রানে এই জুটির তামিমকে তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় সফলতা এনে দেন মার্ক উড। ২৯ বল থেকে ১টি বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন তামিম।
তামিমের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইনিংসের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন সাকিব ও মুশফিক। এই জুটিতে ১০২ বল থেকে ১০৬ রান তোলেন তারা। দলীয় ১৬৯ রানে মুশফিক ৫০ বল থেকে ২টি বাউন্ডারিতে ৪৪ রানে প্লানকেটের শিকারে পরিণত হন।
মুশফিক ফেরার পর ২ বলের বেশি স্থায়ী হতে পারেননি চার নম্বরে ব্যাট করতে আসা মিঠুন। পঞ্চম উইকেট মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে বিশ্বকাপ আসরে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। ৯৫ বল থেকে সেঞ্চুরি করেন সাকিব। এর আগে ৪৫ বল থেকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সেঞ্চুরির পর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ১২১ রানে স্টোকসের বলে আউট হন তিনি।
দলীয় ২১৯ রানে সাকিব যখন ফিরলেন তখন মাহমুদুল্লাহর সাথে ৪৯ রানের জুটির সমাপ্তি হয়। সাকিব আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশ আর মাত্র ৬১ রান যোগ করতে পেরেছিল স্কোরবোর্ডে।মাহমুদুল্লাহ ২৮, মোসাদ্দেক ২৬ রান করেন।
২৮০ রানে আর্চার জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস সমাপ্তি হয়। প্রথম তিনি মিরাজকে ১২ ও মুস্তাফিজকে ০ রানে আউট করেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে আর্চার ২৯ রানে ও বেন স্টোকস ২৩ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। বাকিদের মধ্যে মার্ক উড ২ উইকেট নেন। আদিল রশিদ ও প্লানকেট নেন ১টি করে উইকেট।