যদিও বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে আজ অশনি সংকেত বাজছে। তবে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী নভেম্বরে ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এদিকে ক্রিকেটারদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের দিকে আঙ্গুল তাক করে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছেন আন্দোলনের বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের গন্ধ আছে। আর আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ঘরের মাঠে ভারত বরাবরই দুর্দান্ত। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে যেন নিজেদের ছাড়িয়ে গেছে তারা। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রাহানেদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩-০ তে ধবল ধোলাই করেছে তারা। ভারতের বিরুদ্ধে একটি টেস্টেও দাঁড়াতেই পারেনি প্রোটিয়ারা। বরঞ্চ শেষ দুই টেস্টে ইনিংস ও বিশাল রান ব্যবধানে হেরেছে তারা।
তবে সাবেক ভারতীয় কিংবদন্তি ভিভিএস লক্ষণ মনে করেন ভারতের মাটিতে এসে কোহলিদের টেক্কা দেয়ার ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ। সিরিজটি ভারতের মাটিতে হলেও সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে সিরিজ জেতাটা কোহলিদের জন্য অনেকটাই কঠিন হবে। আর তাই কোহলিদের হুশিয়ার করে দিয়ে লক্ষণ বাংলাদেশকে হালকা ভাবে নিতে নিষেধ করেছেন।
যদিও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই টেস্টে বাংলাদেশের অভিষেক হয়েছিল কিন্তু এই প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ সফরে ভারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশের ব্যাপারে কোহলিদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে লক্ষণ বলেন, ‘আমার মনে হয়, ভারত-বাংলাদেশ সিরিজে লড়াই হবে। বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে অভিজ্ঞ। সম্প্রতি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা দারুণ ফর্মে রয়েছে। সুতরাং ওদের হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ লড়াই করবে।’
আগামী ৩ নভেম্বর দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে ভারত সফর শুরু করবে টাইগাররা। বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে রাজকোট এবং নাগপুরে। এরপর ১৪ নভেম্বর থেকে ইন্দোরে প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। আর টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটি শুরু হবে ২২ নভেম্বর থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে।