বিরাট রোহিতের মাঠের রসায়ন দেখলে কোনো ভাবেই বুঝে উঠা সম্ভব না যে তাদের মধ্যে মনমালিন্য চলছে। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে না বুঝতে দিলেও অনেক আগে থেকেই দলীয় কোন্দল শুরু হয়েছে বিরাট রোহিত কে কেন্দ্র করে।
ভারতের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর মিডিয়ায় ব্যর্থতার প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হয় দলীয় কোন্দল কে। কোচিং স্টাফ সহ দলের খেলোয়াড়রা নাকি দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন। যেখানে মূল একাদশে সবসময় সুযোগ পেত কোহলির পছন্দের খেলোয়াড়েরা। চাহল, বিজয় শঙ্কর, লোকেশ রাহুলের মত খেলোয়াড় দলে সুযোগ পেলেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাননি আম্বাতি রাইডু। পরে বিজয় শঙ্করের ইঞ্জুরির পরেও ডাকা হয়নি তাকে। আর তখন থেকেই অনুমান শুরু হয়েছিল দলীয় কোন্দলের ব্যাপারে।
বিস্ফোরক এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণ মুখ খুলে জানিয়েছিলেন, মোটেই এরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। পুরোটাই কল্পনাপ্রসূত। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য ছিল, “ওদের দু-জনের মধ্যে সম্পর্ক না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। রোহিত মাঝেমাঝেই আলোচনার জন্য কোহলির কাছে ছুটে যায়। একে অন্যের দক্ষতা নিয়ে দারুণ শ্রদ্ধাশীল। কোহলি দারুণভাবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। খুব দ্রুত কোহলি একজন অধিনায়ক হিসেবে পরিণত হয়ে উঠছে। এবং কোহলির সঙ্গে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে রোহিতের। জাতীয় দলের স্পিরিট গোটা বিশ্বকাপ জুড়েই সময় দারুণ ছিল।”
কিন্ত মুম্বাই মিররের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিরাট-রোহিতের সংঘাত বেশ কয়েকবছরের পুরনো। ঘটনার সূত্রপাত রোহিত-শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান যখন একটি স্পনসর সংস্থা ছেড়ে দেন যে সংস্থার প্রধান মুখ ছিলেন বিরাট কোহলি। যদিও এই বিষয়টি বরাবরই চাপা ছিল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি।
ঐ প্রতিবেদনে আরো লেখা হয় গত বছরেই বিরাট কোহলিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করে দিয়েছিলেন রোহিত। আর সম্প্রতি রোহিত আনফলো করে দিয়েছেন বিরাট পত্নী আনুশকা শর্মা কেও। তাইতো রোহিত কোহলি দ্বন্দ্বে ছাড় পেলেন না আনুশকা শর্মা ও। যদিও বিরাটের ফলোয়িং লিস্টে আছেন রোহিত শর্মা।