দুর্নীতির অভিযোগে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে সাসপেন্ড করল জিম্বাবুয়ের ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটার ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিভমোর মাকোনিকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, গত কয়েক বছর ধরেই নানান বিতর্কে জড়িয়ে পরেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। তাদের বিপক্ষে ক্রিকেটে উন্নয়নের ঘাটতি এবং বোর্ডের নিয়মকানুন অবজ্ঞার অনেক অভিযোগ আসতে থাকে পুরো দেশ জুড়ে। ব্যাপারটা হলো জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পূর্ণ সদস্য। এর মানে এই নয় যে, তারা (ক্রিকেট বোর্ড) জিম্বাবুয়ের আইনের বাইরে। বিশেষ করে এসআরসি আইনের অধীনে আছে তারা।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে সেদেশের ক্রীড়া মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন। দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শীর্ষ পদে নির্বাচন বন্ধ রাখার জন্য জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে নির্দেশ দিয়েছিল ওই কমিশন। কিন্তু সেই নির্দেশ একেবারেই মানা হয়নি।
আইসিসি-র পূর্ণ সদস্য জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসি থেকে প্রাপ্ত অর্থ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তদন্তকারীরা। এই পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানোর জন্য ডেভিড এলমন-ব্রাউনের নেতৃত্বে নতুন একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করে দিয়েছে।
২০১৯ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয় আফ্রিকার দেশটি। ক্রিকেটে তাদের বর্তমান অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। এর মধ্যে আবার ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেশটির ক্রিকেটে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।