টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের ৪র্থ ম্যাচে নিজেদের সবচেয়ে বাজে ব্যাটিংটাই দেখালো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে ৮৪ রানেই অলআউট হয়ে গেছে টাইগাররা। এটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ৩য় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা বাংলাদেশকে একরাশ হতাশাই উপহার দিয়ে গেলো। সেমিফাইনালের আশা আজ একেবারেই শেষ। টাইগারদের আশা যা একটু ছিল কাগজে-কলমে। শেষ দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে পারলে, সঙ্গে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র হিসাব মিলে গেলেই কেবল অসাধ্য সাধন হতো।
আগের তিন ম্যাচে তাও বাংলাদেশ বলার মতো কিছু করেছিল। এবার কেবলই ব্যর্থতা। মাত্র ৮৪ রান করে তা ডিফেন্ড করাটা বোলারদের জন্য খুবই কঠিন। তাও চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ।
৩ উইকেটে ৩৩ রানে পাওয়ার প্লেতে আটকে রাখা ছাড়া আর তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি। ১৩.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৬ উইকেটের জয়ে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-১ এর ২য় স্থান সুসংহত করল তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ২ পয়েন্ট পেছনে থাকা অস্ট্রেলিয়া যেন তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে।
পাওয়ার প্লেতে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর টেম্বা বাভুমা ও রাসি ফন ডার ডুসেনের ব্যাটে সহজ জয়ের পথে ছুটতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। লক্ষ্য থেকে ৫ রান দূরে থাকতে ফন ডার ডুসেন ২২ রান করে আউট হলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাভুমা, সঙ্গে ছিলেন ডেভিড মিলার।
১৩তম ওভারের শেষ বলে নাসুম আহমেদ ফেরান ফন ডার ডুসেনকে, দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন শরিফুল ইসলাম, ৪৭ রানের জুটি ভাঙে। আর তিন বল খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় প্রোটিয়ারা। জয়সূচক ৪ রান আসে মিলারের ব্যাট থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ – ৮৪/১০ (ওভার ১৮.২) (লিটন ২৪, নাইম ৯, মেহেদি ২৭; নরকিয়া ৩/৮, রাবাদা ২/২০)
দক্ষিণ আফ্রিকা- ৮৬/৪ (ওভার ১৩.৩) (হেনড্রিকস ৪, ডি কক ১৫, বাভুমা ৩১*, ডুসেন ২২, তাসকিন ২/১৮, মেহেদি ১/১৯)