বিপ্রতীপ দাস: ভারতীয় ক্রিকেটে অধিনায়ক কোহলি যুগের অবসান ঘটেছে। তবে, আকস্মিক এই সিদ্ধান্তের রেশ কাটছে না কিছুতেই। হারানোর দিনে অনেককেই পাশে পেয়েছেন ‘চিকু’ খ্যাত ভিরাট। ভারতের ক্রিকেটের লিভিং লিজেন্ড কপিল দেবের কথায়, অসহনীয় চাপের দরুন সেনানায়কের পদ থেকে মনকষ্টে অব্যাহতি দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার।
কোহলি কেঁদেছেন, কাঁদিয়েছেন। অনেকেই নিজ আবেগের কাছে হয়েছেন পরাজিত, হয়েছেন হতবাক। একজন বিংশ শতাব্দীতে ভারতের ক্রিকেটের রূপকার, আরেকজন একবিংশ শতাব্দীতে ব্যাট হাতে অকুতোভয় এক সৈনিক।
দেশের হয়ে এখন অব্দি সাফল্যমন্ডিত একজন টেস্ট কাপ্তান। যোগ্য উত্তরসূরীর অকস্মাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে, পেছনের গল্পটাকে সামনে এনেছেন কপিল দেব। অবজ্ঞা, আকাশস্পর্শী চাপই কোহলির সরে দাঁড়ানোর অন্তরায় বলে অভিমত তাঁর।
ব্যাটার কোহলির দেখা নেই দীর্ঘদিন। যার ব্যাটে একটা সময় ছিল ধারাবাহিকতার গান আজ সেই ব্যাটটাই অপেক্ষায় রয়েছে পরম আরাধ্য একখানা শতক উদযাপনের জন্য। একে ব্যাটিংয়ে অফফর্ম, অন্যদিকে দলের ফিকে পারফরম্যান্স….সব মিলিয়ে চাপের সমুদ্রে খাবি খাওয়া কোহলি হাত-পা ছাড়া হতেই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করেন কপিল।
বলেন, ‘কোহলির টেস্ট অধিনায়কত্ব পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাই। টি-টোয়েন্টিতে কাপ্তানের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে ব্যাটে রান পাচ্ছিলো না ও। একসাথে নিজের বাজে ফর্ম আবার দল ভালো না করায় সমালোচনার মুখে পড়া। তাই চাপ কমাতে একদিন এমন সিদ্ধান্ত নিতেই হতো, ও সেটা আগেই নিয়ে ফেলেছে এই যা।’
অনেকেই কোহলির সিদ্ধান্তকে হটকারিতা বলে উল্লেখ করলেও এইক্ষেত্রে সে পাশে পাচ্ছে সাবেককে। কপিলের ভাষ্যে, ‘ও (কোহলি) যথেষ্ট পরিপক্ক, ভেবেচিন্তেই ও এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনটা তো হতেই পারে অধিনায়কত্ব করতে আর তার মন টানছিল না ওর। তাই আমাদের সকলের উচিত ওর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সম্মান জানানো।’
এদিকে সেনাপতির সিংহাসন শূন্য হওয়ার পর থেকে একের পরে এক নাম আসছে এই পদের জন্য। অনেক সাবেকই তাদের পছন্দের ক্রিকেটারদের বেছে নিয়েছেন। তবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) কার্যকলাপে এটুকু স্পষ্টত, নয়া দলনেতার সন্ধানে তাড়াহুড়ো করতে একেবারেই নারাজ সংস্থাটি।