পাকিস্তানের কাছে চরম লজ্জার হার হেরেছিল ভারত। আর সেই হারের দোষ বর্তেছে মোহাম্মদ শামির ঘাড়ে। বেশি রান দিয়েছেন বলে? না, মুসলমান বলেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হারে ভারতীয় পেসার শুনেছেন স্বদেশীদের তীর্যক মন্তব্য।
‘পাকিস্তানি, দেশদ্রোহী, গুপ্তচর’- শামিকে কিছু বলতে বাকি রাখেনি ভারতীয় উগ্র সমর্থকরা। দুঃসময়ে সাবেক-বর্তমানদের পাশে পেয়েছেন তিনি।
শামির ওপর এমন আক্রমণ মোটেও ভালোভাবে নেননি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বিরাট কোহলি । কোহলির মতে, মেরুদণ্ডহীনরাই ধর্ম নিয়ে আক্রমণ করে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ভারতীয় বোলারই সুবিধা করতে পারেননি। স্পিনার কিংবা পেসার- নির্বিশেষে সবাইকে বেধড়ক পিটিয়ে স্মরণীয় জয় তুলে আনে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শামি।
কোহলি বলেন, ‘আমার মতে একজন মানুষের ডপক্ষে ধর্মের জন্য কাউকে আক্রমণ করার চেয়ে জঘন্য আর কিছু সম্ভব নয়। এর মাধ্যমেই বোঝা যায়, মাঠে আমরাই ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করছি, যারা মেরুদণ্ডহীনের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব কুৎসা রটাচ্ছে, ওরা নয়। ওদের তো সামনাসামি এসে কিছু বলার মতো সাহসই নেই।’
কোহলি মনে করেন, ধর্ম খুব পবিত্র ও ব্যক্তিগত বিষয়; সেভাবেই থাকা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘ কোনো মানুষের মানসিকতা এটার থেকে আর নিচে নামতে পারে না। এই লোকগুলোকে এভাবেই দেখি আমি। আমি আগেও বলেছি, আমার কাছে কাউকে ধর্ম নিয়ে আক্রমণ করাটা সবচেয়ে বেশি দুঃখজনক ব্যাপার। ধর্ম প্রতিটিট মানুষের কাছে অত্যন্ত ব্যক্তিগত ও পবিত্র বিষয় এবং সেভাবেই দেখা উচিত।’
ভারত ক্রিকেটে শামির অবদান মনে করিয়ে কোহলি বলেন, ‘শামি ভারতকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। সে ও বুমরা কয়েক বছর ধরেই আমাদের দলের নিয়মিত বোলার। মানুষ যদি এগুলো মনে না রাখে, সত্যি বলতে, এ ধরনের মানুষের পেছনে আমি, শামি বা ভারত দলের অন্য সবাই- আমরা আমাদের জীবনের এক মুহূর্ত ব্যয় করতেও আগ্রহী নই।’
কোহলি আরও বলেন, ‘আমরা তার পাশে আছি। আমাদের ২০০ ভাগ সমর্থন পাচ্ছে সে। যারা আক্রমণ করতে চায়, তারা চাইলে আরও বেশি মানুষ নিয়ে আমাদের আক্রমণ করতে পারে। কিন্তু তাতেও আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ ও বন্ধুত্বের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।’