শুধু খেলাতেই নয়, ফিটনেসের দিক থেকেও বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম রোল মডেল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
তবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ফিটনেস নিয়ে এতটা সচেতন ছিলেন না তিনি। খানাপিনার প্রতি ছিল তার বিশেষ আগ্রহ। আর তাই সতীর্থ খেলোয়াড়রা তাকে ডাকতো চিকু নামে। পরে ধীরে ধীরে নিজের খাওয়াদাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ এনে ফিটনেসে মনোযোগী হন তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আজানের ধ্বনিতে মুগ্ধ প্যাট কামিন্স
মজার ব্যাপার হলো বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে থাকতে এই খাবারের প্রতি আকর্ষণের কারণে মরতে বসেছিলেন কোহলি ও তার একসময়কার সতীর্থ ও রুমমেট প্রদীপ সাংওয়ান।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিজের কলামে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে করা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ঘটনা উল্লেখ করে সাংওয়ান লিখেছেন, ‘জুনিয়র ক্রিকেটে প্রায় ৭-৮ বছর পর আমার রুমমেট ছিল। ও সবসময় খেতে ভালোবাসতো, বিশেষ করে স্ট্রিট ফুড। কোরমা রোল, চিকেন রোল ওর পছন্দের ছিল।’
আরও পড়ুন: লাখো মানুষের উপস্থিতিতে হবে ওয়ার্নের শেষকৃত্য
সাংওয়ান লিখেছেন, ‘আমরা তখন ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছিলাম। কেউ একজন আমাদের জানালো যে একটি জায়গায় ভালো মাটন রোল পাওয়া যায়। তবে জায়গাটি খুব একটা নিরাপদ নয়।’
আরও পড়ুন: টাইগারদের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে দল ঘোষণা
নিরাপত্তা শঙ্কার কথা শুনেও দমে যাননি কোহলি। বরং দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে আমরা রওনা হলাম সেখানের যাওয়ার জন্য, ‘আমাদের গাড়িচালকও বলছিল যে সেখানের খাবার খুবই মজার, কিন্তু জায়গাটি নিরাপদ নয়। কিছুদিন আগেই নাকি সেখানে একজনের হাত কেটে ফেলা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: ওয়ার্নকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন গাভাস্কার
‘এ কথা শুনে আমি ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু কোহলি বলে, আরেহ এগুলো বিষয় না, চল যাই। শেষপর্যন্ত আমিও সঙ্গে যাই। আমরা সেখানে খেলাম। এরপরই অচেনা কয়েকজন আমাদের ধাওয়া শুরু করলো। আমরা কোনোমতে গাড়িতে উঠে একদম হোটেলে ফেরার পর থেমেছি।’
বিডি স্পোর্টস নিউজ/জেএ