বাংলাদেশের প্রাণ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জীবনী নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ওপার বাংলার (কলকতা) প্রখ্যাত পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।
আজ হঠাৎ করেই মিরপুরের গ্যালারিতে বসে সাকিবের সেই প্রাণপণ লড়াই দেখলেন সৃজিত মুখার্জি ও তার স্ত্রী এপার বাংলার অভিনেত্রী, মডেল রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
সৃজিত আর মিথিলার বিয়ে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে তারা দু’জনই নিজেদের সংসারে দারুণ খুশি। জানালেন দু’জনের মতের সবরকম স্বাধীনতা থাকলেও একটা জায়গাতে বেশ মিল। সেটি আর কিছু নয় ‘ক্রিকেট’। ঢাকা টেস্টে যখন মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে হার এড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তখন দু’জন গ্যালারিতে বসে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন প্রিয় ক্রিকেটার আর দলকে।
তারই একফাঁকে মিথিলা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন দারুণ এক তথ্য। তার স্বামী সৃজিত অলরাউন্ডার সাকিবকে নিয়ে বায়োগ্রাফী বানাতে দারুণ আগ্রহী। আর তিনিও চান নিজ দেশের সেরা ক্রিকেটার নিয়ে হোক দারুণ এক ছায়াছবি।
মিথিলা বলেন, ‘আমার আজ খেলা দেখতে আসার বড় কারণ সৃজিত। ও ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত, খেলা চললে সামনে কিছুর খেয়াল থাকে না। হ্যাঁ, এটাও সত্যি ও পরিচালক হিসেবে সাকিবকে নিয়ে একটা বায়োগ্রাফি বানাতে দারুণ আগ্রহী। আমারও ইচ্ছা। কারণ সাকিবতো আমাদের গর্ব। সারা বিশ্বে সে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিনিধি। আমরাও চাই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে এমন কিছু একটা করতে।’
গ্যালারি ছেড়ে মিথিলাকে নিয়ে সৃজিত চলে এসেছিলেন প্রেসবক্সে। সেখানেই বসে খেলা দেখার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীকে বোঝাচ্ছিলেন সাকিব পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচাতে কতোটা প্রাণপণ লড়াই করছেন।
তার ফাঁকে সাকিবকে নিয়ে বায়োগ্রাফি বানানোর আগ্রহের কথা উঠতেই সৃজিত বলেন, ‘আসলে এমন একটা কিছু করার ইচ্ছা আছে। যদি সাকিব আল হাসান অনুমতি দেন। আমি কিছুদিন আগেই ভারতের নারী ক্রিকেট নিয়ে একটা ছবি বানালাম। এখন সাকিবকে নিয়ে বায়োগ্রাফি বানাতে পারলে ভালো। সুযোগ পেলেতো অবশ্যই করবো।’
তিনি বলেন, ‘আসলে আমি ক্রিকেটটাকে দারুণ ভালোবাসি। ক্রিকেট আমার প্রথম প্রেম। ক্রিকেট আমাকে যেভাবে উৎসাহিত করে সেভাবে আর কিছু করে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমার আগে থেকেই ভালো লাগে। আর আমার স্ত্রীরও আমার এই ক্রিকেট ভালোবাসা বা খেলা দেখা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই, ও ক্রিকেট ভালোবাসে। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের দু’জনের মধ্যে প্রচণ্ড মতের স্বাধীনতা। কেউ কারো কাজে কখনো বাধা দেইনা।’
মিথিলা বলেন, ‘ও যখন ক্রিকেট দেখে তখন আমিও ওকে সঙ্গ দিই। না, কোনো বিরক্ত হয় না যখন আমাকে পাশে রেখে ক্রিকেট নিয়ে ডুবে থাকে। বরঞ্চ আমিও ওর সঙ্গে খেলা দেখতে দারুণ ভালোবাসি। আমি সৃজিতকে বলি না যে, তুমি বাংলাদেশ নিয়ে ছবি বানাও। কিন্তু ওই বাংলাদেশকে দারুণ ভালোবাসে।’