সব সম্ভবনাকে কবর দিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়লো বাংলাদেশ। পুরোটা আসর জুড়ে ছিল ১৬ কোটি মানুষের একটাই চাওয়া বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে দেখা। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হলো না। কারণ হিসেবে অনেক হিসেবে নিকেষই সামনে এসে যায়। কিন্তু সেগুলো তো আর বিশ্বকাপে কোনো কাজেই লাগবে না।
এই বিশ্বকাপে টাইগার দলের হাল শুধু একজনই ভালোমতো ধরতে পেরেছিলো। আর তিনি আমাদের সাকিব আল হাসান। এক কথায় বলা যায় এ যেন এক সাকিবময় বিশ্বকাপ। পুরোটা আসর জুড়ে একমাত্র সাকিবই লড়াই করে গেলেন বাংলাদেশ দলের হয়ে। বিশ্বকাপের এক ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় ৮ ইনিংসে ৫ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ১২৪ ও সর্বনিম্ন ৪১ রান।
এতো গেলো ব্যাটিং পারফরমেন্স। বল হাতে তিনি ৮ ইনিংসে নিয়েছেন ১১টি উইকেট। ওয়ান ম্যান আর্মি খ্যাত সাকিব বিশ্বকাপ শেষে ৬০৬ রান নিয়ে রইলেন সবার উপরে।
এতো কিছু দলকে দেয়ার পরও সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার আক্ষেপটা যেন একটু বেশিই। সাকিবের সহায়ক মুশফিক ব্যাট হাতে কয়েক ম্যাচ জ্বলে উঠলেও তেমন কোনো ম্যাচ উইনিং স্কোর উপহার দিতে পারেননি তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে শুক্রবার ৯৩ রানের ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ শেষ করেছে টাইগাররা। এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
সাকিবের সঙ্গে কোনো ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে পারেননি। ম্যাচ শেষে তাই পুরো দলের হয়ে সাকিবের কাছে ক্ষমা চাইলেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি।
ম্যাচ শেষে মাশরাফি বলেন, ‘গত দুই ম্যাচেই সাকিব ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে তাকে কেউ সঙ্গ দেয়নি। আমি মনে করি আজকের পিচও ৫০-৫০ ছিল। এই রানটা টপকানো যেতো। কিন্তু আমরা কোনো পার্টনারশিপ গড়তে পারিনি। দল হিসেবে আমরা খুবই দু:খিত যে আমরা কেউই সাকিবের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিতে পারিনি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সকল বিভাগেই সাকিব দূর্দান্ত ছিল। তবে দল হিসেবে আমরা কেউই সাকিবকে সাহায্য করতে পারিনি।’